প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের নিভৃত গ্রামীণ জনপদের এক উচ্ছল শিশু শ্যামল। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সে বাবাকে হারায়। ১৯৭১-এ শ্যামলের বয়স যখন মাত্র সাত মাস তখন ওর বাবা স্কুল শিক্ষক আব্দুল গফুর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে চলে যায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মোহনী নেতৃত্বে মোহবিষ্ট এবং ভীষণভাবে উদ্দীপ্ত আব্দুল গফুর সাত মাসের একমাত্র শিশুসন্তান শ্যামলকে ফেলে, স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। জীবন বাজি রেখে অসীম সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধে শত্রুপক্ষের কাছে হয়ে ওঠে ভয় ও আতঙ্কের কারণ আর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সাহসের উৎস। রাজাকারদের হাতে বাবা-মা, ভাই-বোনের নির্মমভাবে নিহত হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা তাকে বাক্রুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় সে জানত না যে তার অতি আদরের একমাত্র পুত্র এবং স্ত্রী আদৌ জীবিত আছে কি না। বুকের মধ্যে এক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি নিয়ে সে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে আব্দুল গফুর যখন তার নিজ এলাকায় ফিরে আসে তখন আপামর জনতা তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেয়। নিজ গ্রাম রসুলপুরসহ চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আব্দুল গফুরের বন্দনায় মুখর হয়ে ওঠে সবাই। সবার অকাতর ভক্তি-ভালো বাসায়-মুগ্ধতায় ভরে যায় আব্দুল গফুরের মন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ইতিহাসের চরম নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ফিরতে থাকে। জাতির পিতার একনিষ্ঠ ভক্ত ও অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর ইতিহাসের নির্মমতম এই নৃশংস হত্যাকা- মেনে নিতে পারেনি। ক্ষোভে-দুঃখে-দ্রোহে, তীব্র হতাশায় ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। পিতৃহারা হয় শ্যামল। মা ছাড়া আর কেউই রইল না ওর। মা মলি বেগমের ভবিষ্যতের সকল স্বপ্ন আবর্তিত হতে থাকে শ্যামলকে ঘিরেই। তাদের এই জীবনযুদ্ধে পাশে থাকে পরমাত্মীয়ার মতো বীরাঙ্গনা রাহেলা বেগম। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু, পাকিস্তানি হায়েনাদের দোসর আলবদর-রাজাকাররা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। তাদেরই শীর্ষস্থানীয় একজন রসুলপুরের বেলায়েত মৌলভি। ধর্মীয় তেমন কোনো শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই নিজেকে মৌলভি পরিচয়ে পরিচিত করে তোলা এক জঘন্য নরপশু সে। শ্যামলদের পরিবারটিকে সে বাস্তুভিটাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লাগে। শ্যামলের শৈশব হয়ে ওঠে আরো কণ্টকাকীর্ণ। স্বাধীনতাপ্রিয় রসুলপুরের বীর জনতা হারতে শেখেনি। তারা সংগঠিত হয়। শ্যামলদের অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। একাত্তরের চেতনায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে। পরাজিত হয় বেলায়েত রাজাকার ও তার দোসররা। শ্যামলের শৈশবের ভাগ্যাকাশে উদিত হয় নতুন সূর্য। প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের নিভৃত গ্রামীণ জনপদের এক উচ্ছল শিশু শ্যামল। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সে বাবাকে হারায়। ১৯৭১-এ শ্যামলের বয়স যখন মাত্র সাত মাস তখন ওর বাবা স্কুল শিক্ষক আব্দুল গফুর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে চলে যায়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মোহনী নেতৃত্বে মোহবিষ্ট এবং ভীষণভাবে উদ্দীপ্ত আব্দুল গফুর সাত মাসের একমাত্র শিশুসন্তান শ্যামলকে ফেলে, স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। জীবন বাজি রেখে অসীম সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধে শত্রুপক্ষের কাছে হয়ে ওঠে ভয় ও আতঙ্কের কারণ আর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সাহসের উৎস। রাজাকারদের হাতে বাবা-মা, ভাই-বোনের নির্মমভাবে নিহত হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা তাকে বাক্রুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় সে জানত না যে তার অতি আদরের একমাত্র পুত্র এবং স্ত্রী আদৌ জীবিত আছে কি না। বুকের মধ্যে এক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি নিয়ে সে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে আব্দুল গফুর যখন তার নিজ এলাকায় ফিরে আসে তখন আপামর জনতা তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেয়। নিজ গ্রাম রসুলপুরসহ চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আব্দুল গফুরের বন্দনায় মুখর হয়ে ওঠে সবাই। সবার অকাতর ভক্তি-ভালো বাসায়-মুগ্ধতায় ভরে যায় আব্দুল গফুরের মন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ইতিহাসের চরম নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ফিরতে থাকে। জাতির পিতার একনিষ্ঠ ভক্ত ও অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর ইতিহাসের নির্মমতম এই নৃশংস হত্যাকা- মেনে নিতে পারেনি। ক্ষোভে-দুঃখে-দ্রোহে, তীব্র হতাশায় ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। পিতৃহারা হয় শ্যামল। মা ছাড়া আর কেউই রইল না ওর। মা মলি বেগমের ভবিষ্যতের সকল স্বপ্ন আবর্তিত হতে থাকে শ্যামলকে ঘিরেই। তাদের এই জীবনযুদ্ধে পাশে থাকে পরমাত্মীয়ার মতো বীরাঙ্গনা রাহেলা বেগম। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু, পাকিস্তানি হায়েনাদের দোসর আলবদর-রাজাকাররা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। তাদেরই শীর্ষস্থানীয় একজন রসুলপুরের বেলায়েত মৌলভি। ধর্মীয় তেমন কোনো শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই নিজেকে মৌলভি পরিচয়ে পরিচিত করে তোলা এক জঘন্য নরপশু সে। শ্যামলদের পরিবারটিকে সে বাস্তুভিটাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লাগে। শ্যামলের শৈশব হয়ে ওঠে আরো কণ্টকাকীর্ণ। স্বাধীনতাপ্রিয় রসুলপুরের বীর জনতা হারতে শেখেনি। তারা সংগঠিত হয়। শ্যামলদের অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। একাত্তরের চেতনায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে। পরাজিত হয় বেলায়েত রাজাকার ও তার দোসররা। শ্যামলের শৈশবের ভাগ্যাকাশে উদিত হয় নতুন সূর্য।