কিশোর মনের গভীরে অনুসন্ধানী আলো ফেলে তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, আনন্দ-উচ্ছ্বাস, সৃজনী-উদ্ভাবনী এবং স্মৃতিকাতরতা প্রসঙ্গগুলো যথার্থভাবে উপলব্ধির পর কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ তাঁর গল্প-উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন। কত না বিচিত্র রঙে রঙিন কিশোর মনোজগৎ! কত না উৎসাহ, উদ্দীপনা! কত না কল্পনাবিলাস আর রোমাঞ্চ! তার সবই কি আঁকা যায় শিল্পীর তুলিতে? নাকি লেখা হয় লেখকের কলমে! রফিকুর রশীদ কিশোর মনের আবেগমাখা চালচিত্রের খুটিনাটিও তুলে আনতে চান কিশোরগল্পে, যখন পুরোটা কুলিয়ে ওঠে না, তখন ক্যানভাস বদলিয়ে চলে আসেন কিশোর-উপন্যাসে। বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের যুগেও শিশু-কিশোরেরা ভূত-প্রেতের গল্প শুনতে ভালোবাসে। ক্ষুদে পাঠকদের কৌতূহলের এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তিনি লিখেছেন অদ্ভুত সব ভুতুড়ে উপন্যাস। ছোটদের মনে ভূতের ভয় জাগানো নয়, ভয় তাড়ানোই যেন এ-সব উপন্যাসের উদ্দেশ্য। এ রকম তিনটি ভুতুড়ে উপন্যাস এই সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর আছে মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাস তিনটি। মোট ছয়টি কিশোর উপন্যাস এক মলাটে বন্দি করে উপস্থাপন করা হয়েছে রফিকুর রশীদের কিশোর উপন্যাসসমগ্র-২। ছোটদের বড়দের সকলের কাছেই এ বইটি সুখপাঠ্য হবার দাবি রাখে।