আরিফকে তারিফ মুনূহু, এই মুজিবর্ষে, তার আগে বা পরে, জাতিপিতা মুজিবকে নিয়ে কত বিচিত্র কথকতার ঢাকঢোল কবিতা হয়ে সৃজিত, উচ্চারিত, প্রকাশিত বা উপস্থাপিত হচ্ছে কে তার খবর রাখে! তার মধ্যে, নির্দ্বিধায় খবর রাখার মতো বা পড়ার মতো ব্যতিক্রমতম এক কবিতাবহি কামরুল বাহার আরিফ প্রণীত ৪১টি খ- কাব্যচিত্র সম্বলিত এই গ্রস্থ : ‘তুমি জেগে রবে, জেগে রহো’। প্রথাগত শব্দ-ছন্দ-চিত্র ব্যবহার করে বা সেগুলো ভেঙে-গুড়িয়ে অন্য অবয়ব দিয়ে, বাস্তবকে জাদুময়তায় টেনে, সোজাসাপ্টা কথনময়তার চমৎকারিত্বে, এর প্রতিটি বাকপ্রতিমা খসড়ায়িত। যে কোনো বিষয়কে যে তার অতিব্যবহৃত গণ্যময়তা থেকে নবনিযুক্ত নন্দনময়তায় উপস্থাপন করা যায়, এই পঙ্ক্তিগুলো তার আকলী উদাহরণ। তবে মনহরণের নতুন কাব্যশতদল নিয়ে আইসাছে গো এই উদাহরণগণ। এইকানেই তো ঠেইক্যা গেলাম গো। আর পারলাম না, তাহলে শেষমেশ কইয়াই ফালাইলাম। এইগুলা এইতক এইখোকা বিষয়ক মৎপঠিত সেরার সেরা গো! যে এই পোলা এইগুলা লেইখাছে তার নাম আরেকবার বইলা দিলাম কা.-বা.-আরিফ। আমি এইভাবেই এই কথার-কথাতেই করলাম তার তারিফ। সুধী কবিতাপাঠক, আপনিও পড়–ন, আর আপনিও তার তারিফ করুন। অধম এখনো কবিতা লেখতাছি গো বেহুদা; চেনা-বা-অচেনা এক নাম পোকখালী নিবাসী – মুহম্মদ নূরুল হুদা