রহস্যময় ভেতরের পৃথিবী

৳ 250.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848062036
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৪০
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

পবিত্র কুরআনে ফাঁপা পৃথিবীর বিষয়টি এসেছে ‘গুহা’ তথা ফাঁপা পাহাড়ের উপমার আড়ালে। একটি সূরার নামই হলো ‘কাহ্ফ’ তথা ‘গুহা’। সূরা কাহ্ফের ৯নং আয়াত বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়, ফাঁপা পৃথিবী পৃষ্ঠ এবং পৃথিবীর খোলসে ছড়িয়ে থাকা সুড়ঙ্গসমূহ মানববসতিপূর্ণ। ‘পাতালপুরী’ এসেছে সূরা ত্বা-হা’র ৬নং আয়াতে ‘তাহতাস সারা’ হিসেবে। তাছাড়া ভেতরের পৃথিবীর উর্বর ভূমির পরিচয় দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সূরায়। আছে দুই সূর্যের বিষয়, মেরুতে দুই সাগরের মিলিতভাবে প্রবাহিত হওয়ার বিষয়, প্রতিটি পাহাড় দিয়ে ইয়াজুজ মাজুজদের উঠে আসার বিষয়সহ আরো অনেক বিষয় যেগুলো থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, পৃথিবী ফাঁপা ও সুড়ঙ্গময়।
পৃথিবী ফাঁপা ও মানববসতিপূর্ণ হলেই কেবল মেরু অভিযাত্রীদের বিচিত্র অভিজ্ঞতাসহ শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে মানব সমাজে চলে আসা রূপকথা এবং এলিয়েন, ফ্লাইং সসার, বারমুডা ট্রায়েঙ্গল, ডেভিল সী, এরিয়া-৫১, পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠী, ইয়াজুজ-মাজুজসহ বহু গোপন রহস্যের সমাধান হয়ে যায়। আর এভাবে বিভিন্ন ধর্মের গোপন রহস্য, রূপকথার গল্প-কাহিনী, আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ যুগপৎভাবে বিবেচনা করলে সুড়ঙ্গময় ফাঁপা পৃথিবীর চিত্র ফুটে উঠে। আর এই সকল বিষয়গুলি এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ফাঁপা পৃথিবী সংক্রান্ত “রহস্যময় ভেতরের পৃথিবী” বইটি পাঠকের চিন্তার জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে, ইনশা’আল্লাহ।

চল্লিশের দশকের সাহিত্যিক, সাংবাদিক খান মােহাম্মদ মােসলেহ উদ্দীন। তিনি ১৯২১ সালে পিরােজপুরের মঠবাড়ীয়ার বেতমােড় গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রয়াত আলহাজ্ব বাহাউদ্দীন খান। মায়ের নাম সামরাত বান। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে ১৯৪১ সালে তিনি রয়েল ইন্ডিয়ান নেভিতে হাবিলদার পদে যােগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে জাপান এয়ার ক্রাপের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ দেখেছেন ৪৭-এর দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম। চল্লিশের দশকের গােড়ার দিকেই দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতা শুরু। কোলকাতায় কাজ করেছেন দৈনিক আজাদ, দেনিক নবযুগ, দৈনিক ইত্তেফাক ও গুলিস্তা পত্রিকায়। আর দেশভাগের পর নিউ নেশন, বাংলাদেশ টাইমস ও অবজারভার পত্রিকায়। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক পায়রা, অভিযাত্রী এবং সেবা পত্রিকার। কবিতা, প্রবন্ধ ও জীবনী মিলিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪টি। অপ্রকাশিত রয়েছে সমাজ, সভ্রতা, সংস্কৃতি এবং সাহিত্য বিষয়ক গবেষণাধর্মী আরাে ২০টি বইয়ের পান্ডুলিপি। বাংলা ১৩৫২ সালের ভাদ্র সংখ্যয় কায়কোবাদকে নিয়ে লেখা তার। মহাশ্মশানের কবি নামের ধারাবাহিক প্রবন্ধ মােহাম্মদীতে প্রকাশ হলে হৈচৈ পড়ে যায় সাহিত্য মহলে। পরিচিত হলেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর দেয়া ইয়াংগেস্ট জার্নালিস্ট নামে। তাকে আদর করে নাতী বলে ডাকতেন কায়কোবাদ। সেসময় নজরুলকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে যে নবযুগের সূচনা হয়, তার অনুসারী হিসেবে মাওলানা আকরাম খা, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, আবুল মনসুর আহমদ, মুজিবুর রহমান খান, কবি ফররুখ আহমদ, জসীম উদ্দীন, আহসান হাবীব, গায়ক মানবেন্দ্র মুখােপাধ্যায়, হেমন্ত মুখােপাধ্যায় এবং আব্বাস উদ্দীনসহ ৪২ সালের দিকে কোলকতা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের নীচতলায়। সােৎসাহে আড্ডায় বসতেন খান মােহাম্মদ মােসলেহ উদ্দীন। বরাবরই প্রচারবিমুখ সৃষ্টিশীল এই মানুষটির লক্ষ্য লেখনির মধ্য দিয়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলা। তাই জীবন সায়াহ্নে এখনও মধ্যরাত অবধি তিনি মত্ত থাকেন সৃজনশীলতায়। কোলকাতার সেই আডডা আর ফিরে পেলেও স্মৃতির পাতা হাতড়ে ফেরা চির নবীন এই মানুষটি দিনময় বেঁচে থাকেন শব্দের সঙ্গে কথা বলে।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ