মুখবন্ধ
সত্যি লিখছি, দেরি হয়ে গেল অনেকটা সময় । স্কুলজীবনে ম্যাগাজিনে লিখতাম তারপর বড় একটা লেখা হয়নি, দুই একটা কবিতা ,কখনো প্রবন্ধ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা, খুঁজেই পাওয়া যাবে না হয়তো । করোনার একা হওয়ার সময়টা প্রিয় হাজারো ছেলেমেয়েদের ইচ্ছে পূরণ করতেই আবৃত্তি আর লেখা, এভাবেই দুঃসময়কে জয় করা ।
বহু বছর আগে কচি-কাঁচার মেলার রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই আলোর দিশারী বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার শিখিয়েছিলেন কর্মী হতে, শুধু নিজের জন্য নয় আগামী কে নিয়ে পাথ চলা ।
সূর্য অস্ত যাবার সময় আমার লেখার ভোর হলো নিজেই নিজের কাঁচা হাতের লেখা পড়ে হাসি । ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতি ভালোবাসি, বৃক্ষ ,ফুল, পাখি ঘুরে ফিরে চলে আসে । কথাগুলো লিখে ফেলি কিন্তু বই বার করার কথা কল্পনায়ও আসেনি এই সময় । প্রিয় ছাত্র রাহিতুল ইসলাম সেই স্বপ্ন দেখালো ,কাগজ কালিতে বন্দী করে।
কথামালা পৌঁছে দেবে বইমেলায় । ধন্যবাদ দৈনিক প্রথম আলোর তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক রাহিতুল ইসলাম কে । উজান রহমানের জন্য শুভেচ্ছা- বড় যত্নে প্রচ্ছদটি এঁকেছে ।
ছয়টি গল্প আছে ‘অন্তরালে পুষ্পিতা’ বইটিতে, কাউকে নিয়ে লেখা নয়, তবু মনে হয খুব চেনা, আবার একেবারে অচেনা । অনলাইনে প্রথম লেখা ‘বন্ধু ‘ গল্পটি দৈনিক যুগান্তরে ছাপা হয়েছিল । প্রাচীর ,অপেক্ষা, মল্লিকা, ছেলেমানুষি ও পিঙ্ক ওলিন্ডার গল্প গুলিতে -অস্থির সময়ে ,স্থবির জীবনে ,বন্দি মনের ছাপ পড়েছে কোথাও কোথাও, পাঠক ক্ষমা করবেন।
কৃতজ্ঞতা প্রবাসে থেকেও যিনি প্রতি রাতে উৎসাহ দিয়েছেন ‘আমার চাচী আম্মা’, অসময়ে খুঁজে পাওয়া মমতা আপা, সব সময়ের বন্ধু মিতালী হোসেন,অনুজবন্ধু রুমানা, টিটো জামান, কেন্দ্রের প্রিয় কামাল ভাইসহ সব ভাই বোনেরা, মিশুক নাঈম, জিনাত আর জারিসা ।
যেসব শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরা অনলাইনে গল্প পড়ে আবৃত্তি শুনে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন তাদের সকলের কাছে ঋণী হয়ে রইলাম।