বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ রাসেল একটি অশ্রæসিক্ত নাম। আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। কিশোর শেখ রাসেল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অন্য ভাইবোনদের সাথে হেসে-খেলে বড় হচ্ছিল। বাবা-মায়ের এই আদরের সন্তানটিকে ছোট-বড় সবাই ভালোবাসতো। দেখতে যেমন সুন্দর ছিল তেমনি তার চলনবলনও ছিল মার্জিত ও মায়াময়।
১৫ আগস্ট বাংলার ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। এদিন মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে ঢুকে একদল সেনা নির্মমভাবে গুলি করে বাড়িতে অবস্থানরত সবাইকে হত্যা করে। তারা এতটাই নরপশু ছিল যে, ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুটিকেও রেহাই দেয়নি! কী অন্যায় করেছিল এই নাবালক ছেলেটি? কী নিষ্ঠুর আর কী বীভৎস এই হত্যাকাণ্ড! পৃথিবীর ইতিহাসে এমন হত্যাকাণ্ড আর দ্বিতীয়টি দেখা যায় না।
আজকে যারা কিশোর-কিশোরি ঠিক তোমাদের মতোই এমনই উজ্জ্বল-উচ্ছল ছিল রাসেল। রাসেল তার বাবার সাথে সব অনুষ্ঠানে যেত। সবার সাথে হাসিখুশিভাবে মিশত। বাবার হাত ধরে দেশ-বিদেশে কত বড় বড় নামি-দামি মানুষের সাথে দেখা করেছে, কথা বলেছে। কিছু ছবি, কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখলে আজও রাসেলকে জীবন্ত মনে হবে।
‘গল্পে গল্পে শেখ রাসেল’ একটি সম্পাদিত বই। বইটি সম্পাদনা করেছেন কাজী কেয়া। এমন একটি বইয়ের সম্পাদক কাজী কেয়াকে প্রথমেই অভিনন্দন জানাতে হয়। এ বইয়ের গল্পগুলো লিখেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত গল্পকাররা। গল্পগুলোর কিছু কাল্পনিক, কিছু একদম বাস্তব।
বইটিতে গল্প লিখেছেন আবুল ফজল, সেলিনা হোসেন, আখতার হুসেন, আনিসুল হক, খালেক বিন জয়েনউদদীন, ফারুক নওয়াজ, রফিকুর রশীদ, মনি হায়দার, মাহবুব রেজা, এনায়েত রসুল, মোস্তফা হোসেইন, আলী হাবিব, মোজাম্মেল হক নিয়োগী, ফজলে আহমেদ, কাজী কেয়া, নাসরীন মুস্তফা, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আহমেদ রিয়াজ, দেওয়ান আজিজ, স. ম. শামসুল আলম, নীহার মোশারফ, মোশতাক রায়হান ও মালেক মাহমুদ।
‘সম্পাদকের কথা’য় সম্পাদক কাজী কেয়া
লিখেছেন―‘রাসেলকে নিয়ে এমন সংকলন অনেক প্রকাশিত হয়েছে; তার পরও আরো একটা বের হলো―উদ্দেশ্য কিছু ভালো গল্পকে মলাটবন্দি করা। সবগুলো শিশুতোষ গল্প। আশা করি সংকলনভুক্ত গল্পগুলি সবার ভালো লাগবে।’