পৃথিবীতে আমাজান প্রবাহের পরই, মোট প্রবাহের পরিমানের দিকে পদ্মা-মেঘনার স্থান। বাংলাদেশে মাকড়শার জালের মতো নদী নালা। খালের দৈর্ঘ্য হবে কমপক্ষে পনের হাজার মাইল। একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক লিখেছেন- ‘নদীর মৃত্যু বা গতি পরিবর্তনের সঙ্গে বাঙালির মনের গূঢ় সম্পর্ক আছে। নদীই এনেছে অনেক সময় তার সমাজে ক্রান্তি, তার মনকে করেছে সচেতন ও দুঃসাহসী। ধ্বংসের মধ্য দিয়ে তার উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রখর।’ আসলে বাংলাদেশের, বাঙালির ইতিহাস এক হিসেবে এ দেশের নদ-নদীরই ইতিহাস- যা জানা প্রয়োজন। আর সে কারণেই আমাদের নিবেদন- নদী-মেখলা বাংলাদেশ। এ দেশটিকে গড়ে তুলতে হলে, জাতি হিসেবে বুক টান করে দাঁড়াতে হলে সবার আগে জানতে হবে এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য। আর এ জানার শুরুটা ছোট বেলা থেকে হলেই সবচেয়ে ভালো। আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সহজ ভাষায় রচিত এই বইটি। বইটি নকশা করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী হাশেম খান। নদী নেই তো বাংলাদেশ নেই। নদী আমাদের প্রাণ, তাই ইতিহাস ঐতিহ্যের বই – ‘নদী-মেখলা বাংলাদেশ’।