“কথা কণিকা” বইটির পূর্বকথন অংশের লেখাঃ
অণু-কবিতায় থাকে ক্ষুদ্র ভাবনার প্রকাশ। এই প্রকাশ কামিনী-কাঞ্চন পাপড়ির প্রস্ফুটনের মতো। ক্ষণিকের দোলায় দুলে ওঠে মনও। মাঝে মাঝে মন ভেসে যায় ভাবের রাজ্যে। কখনো কখনো কবিতার ভাষান্তর সৌন্দর্য বিভায় ভরে ওঠে মন। আবার জেগে ওঠে সুখের আনন্দ-অনুভব। সেখানে মন স্বাধীন। কবিতারা আরো স্বাধীন । শব্দ সুষমায় ছন্দ যুক্ত হলে সুখের অনুভবে থাকে লাগসই আমেজ। কবিতা তখন সজীব হয়, অনুভবে সৌরভ ছড়ায়। কিন্তু সব শব্দ সন্নিবেশ কবিতা হয় না, তবে কবিতার মতোই কোনোকিছু হতে পারে। আমার বেলায় কথাটা খুব খাঁটি।
কাব্যিক সুষমায় শব্দের সুবিন্যস্ত ব্যঞ্জনা কবিতার আবশ্যিক শর্ত। কখনো কখনো তা ভাষান্তরে আরো বেশি পরিপুষ্ট হয়। তাই কবিতার অনুবাদ যুত্সই না হলে মূল ভাবের প্রকাশ ব্যাহত হয়।
যা-ই হোক, কবিতার অনুবাদে এটা আমার প্রথম প্রয়াস । সেটার শুরু একেবারে হঠাৎ এবং মুখ্যত অণু-কবিতা নির্ভর এ যাত্রা। বাংলা কবিতা থেকে ইংরেজি করে–দু’ভাষার সন্নিবেশ থাক একসাথে—এমন ভাবনা ছিল । প্রকাশককে অশেষ ধন্যবাদ এই গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য।
শ্যামসুন্দর সিকদার