চেনা লোকালয় থেকে তুলে নিয়ে আসা কিছু চরিত্র। তারা বাস করে আমাদের আশেপাশেই।
আসিফ আর রেশমার চির চেনা সুখের দিনলিপিগুলো শুরু হয় আটপৌরে চার কামরার সংসারে। মধ্যবিত্ত জীবন, সাধ্যের মধ্যেই খামচে ধরতে চাওয়া সবটুকু সুখ। আনাচে কানাচে উপচানো সুখের হাতছানির মাঝেই কোত্থেকে যেন উড়ে এসে জুড়ে বসে এক চিমটি অ-সুখ। সেই একটুখানি অ-সুখের বড় দাপুটে প্রভাব। মূলশুদ্ধ উপড়ে ফেলতে পারে মহীরূপসদৃশ একটা পুরো সংসার।
রাশেদের মতো কিছু মানুষ সামান্য একটুখানি মর্যাদা পাওয়ার আশায় পার করে দেয় গোটা একটা জীবন। তবু দেখা মেলে না কাঙ্ক্ষিত সৌভাগ্যের। ধুকপুকে আশারা কেবল জোগান দিয়ে চলে বেঁচে থাকার রসদের।
বুকভরা ভালোবাসা নিয়েও নোমানের মতো কেউ কেউ বেঁচে থাকে সম্পূর্ণ একা। তাদের হৃদয়ের নো-ম্যান’স ল্যাণ্ডে কোনো স্বপ্নেরা বসতি গাঁড়ে না…নাকি গাঁড়তে পারে না!
লতিফার মতো কারো কারো জীবনে ভালোবাসার মানুষগুলো বদলে যায়, সময়ের পাকেচক্রে। ফিকে হয়ে আসে তাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। তবুও একটি জীবন পার করতে হয় ছেলেভুলানো গল্প শুনে। মনকে প্রবোধ দিয়ে বলে যেতে হয়, এই তো অল্প কিছুদিন মাত্র! খুব তাড়াতাড়িই মিলবে অবসর, দেখা হবে অনন্ত শান্তির সাথে!
এসবের মাঝেও ড মুর্তজা রায়হানের মতো কোনো এক মাস্টারমাইণ্ডের নিখুঁত ছকে বেরিয়ে আসে দারুণ সব জীবনের গল্প। তারাও আশেপাশেই বাস করে, চেনা গণ্ডির অচেনা আবহে তাদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ।
কখনো মঞ্জুদির মতো কিছু প্রিয়মুখের মানুষ হারিয়ে যায় অকালে, দুর্ভাগ্য কিংবা প্রতিহিংসার শিকার করে। বুকের ভেতরে সেই নামগুলো বেঁচে থাকে চাপা অব্যক্ত দীর্ঘশ্বাস হয়ে। স্বর্ণ দিন গোনে প্রিয় কারও পদধ্বনি শোনার আশায়। আফোটা ফুল হাতে ভালোবাসারা শুনিয়ে যায় অপূর্ণতার গল্প।
চেনা বলয়ের এই গল্পগুলো আমাদের আশেপাশের গল্প। খুব পরিচিত কোনো প্রিয় ফুলের সৌরভ যেন মিশে আছে তাদের প্রতি পরতে।
এই গল্পগুলোই আমাদের রোজকার আলো হাসি কান্না ছড়ানো একেকটি দিনের কারিগর।