হাসান শফি ছদ্মনামে লেখা অপরিচিত লেখকের ‘সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় : বিপ্লব ভাবনায় নয়া প্রেক্ষিত প্রবন্ধটি পড়ে অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম লিখেছিলেন : “কী সুন্দর ঝরঝরে হাত এবং চিন্তার। পরিচ্ছন্নতা। এমন পরিচ্ছন্ন প্রকাশের দক্ষতা খুব কমই চোখে পড়ে। কঠিন প্রশ্ন। কঠিন বিষয়। কিন্তু প্রাঞ্জল । প্রকাশ।” [‘ডেড কমিউনিজমের ভূত’, দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৮ এপ্রিল ২০০০]
বস্তুত লেখকের এই পরিচ্ছন্ন চিন্তা ও বলিষ্ঠ প্রাঞ্জল। উপস্থাপনার পরিচয় বিধৃত রয়েছে সময়ের মুখােমুখির প্রায় প্রতিটি প্রবন্ধে। তা সে প্রবন্ধের বিষয় বামপন্থার। ভবিষ্যৎ, সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গণতন্ত্রের অনুশীলন, শিল্প-সাহিত্য বিচারে মৌলবাদী ও বামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি যা-ই হােক। লেখকের যুক্তি, মননশীলতা, অন্তদৃষ্টি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার সঙ্গে তাঁর। ভাষার ধার ও প্রকাশভঙ্গির স্বচ্ছতা মিলে প্রবন্ধগুলােকে আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। উপরন্তু পাঠককে যা আকর্ষণ করবে তা লেখকের প্রতিবাদী, জিজ্ঞাসু ও বিতর্কপ্রবণ মনের পরিচয়।