এই নাটকে প্রধানত তিনটি মূল চরিত্র। তারা হচ্ছে গার্সিন, ইনেঝ, ইসটেলি। তারা সকলেই মৃত। মৃতের পর তারা নরকে এসেছে এবং প্রত্যেকের একই কথা। বিশেষ কোনো পাপ তারা করেনি। বরং তারা যেটা করেছে সেটাই স্বাভাবিক। যেমন কেউ যদি দু’বছর বিবাহিত জীবনের পর অন্য একজনকে ভালোবাসে। তাহলে পাপটা কোথায়? এই চরিত্রটির নাম ইনেঝ। ইনেঝ অন্য একটি স্ত্রীলোককে তার স্বামী থেকে বঞ্চিত করে এবং তাকেও তার স্বামীকে হত্যা করে।
গার্সিন হচ্ছে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক। সে বলে তার মৃত্যুর কারণ হলো তার যুদ্ধবিরোধী মতবাদ। বা¯ত্মব ঘটনা হলো সে যুদ্ধড়্গত্রে থেকে পলায়ন করে এবং সে নিজেকে বীর প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে, যা সে নয়, এবং কাপুরম্নষতার জন্যই তার মৃত্যু হয়। তৃতীয় একটি চরিত্র নাম ইসটেলি। সেও প্রথমে ভাণ করে তার বিশেষ কোনো অপরাধ নেই। কিন্তু পরে প্রকাশ পায়, সে নিজের সšত্মানকে হত্যা করে এবং প্রেমিককে আত¥হত্যা করতে বাধ্য করে। তিনটি চরিত্রের দুজন হয়তো পরস্পরের কাছে নিজেদের মিথ্যা কাহিনীতে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু তৃতীয় চরিত্রের বিচার দৃষ্টির সামনে তারা সত্য কথা বলতে বাধ্য হয়।
এই নাটকের মধ্য দিয়ে সার্ত্রে দেখাতে চেয়েছেন যে, প্রচলিত অর্থে নরক বলতে যা বোঝায়, নরক তা নয়। মানুষই মানুষের বিচার করে এবং অপরাধীকে যে জন্য মানুষের সামনে বিচারের জন্য হাজির হতে হয়, অপরের দৃষ্টিশাসন মেনে নিতে হয়, এটাই নরক।