নাটকের ঘটনায় দেখা যায় প্রতিরোধ আন্দোলনের একদল যোদ্ধা বন্দি হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি মেয়েও আছে। সামরিক কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে জানতে চায়, তাদের দলপতি জাঁ কোথায়। সোর্বিয়েরকে প্রথম উৎপীড়ন করা যায়, সে নিজেকে বীর বলে ভাবলোও সে কোনো কথা প্রকাশ করে না। এ সময় জাঁকে অন্যলোক ভেবে বন্দি করে আনা হয়। দলের একজন লোক গ্রিক, নাম ক্যানোরিস, সে নিজের দেশেও আগে অত্যাচারিত হয়েছে। সেও কিছু বলে না। দ্বিতীয় দৃশ্য মঞ্চে সোর্বিয়ের ওপর অত্যাচার করা হয়। সোর্বিয়েরকে আবার আনা হয় অত্যাচারের জন্য। সে সামরিক কর্মচারীদের ফাঁকি দিয়ে আত¥হত্যা করে। লুসীকে অত্যাচার করতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এ সময় জ্যঁ নিজের দলের লোকদের দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখে অনুতাপ অনুভব করে। কিন্তু তাকে বাঁচতে হবে। কারণ তা না হলে, আরো বড় বিপদ ঘটবে। লুসীর ভাই ফ্রাঁসোয়া খুবই ভীত হয়ে পড়ে এবং সে হয়তো গোপন কথা প্রকাশ করে ফেলতে পারে, এই ভয়ে জাঁ ও লুসীর সামনে হেন্রি তাকে গলা টিপে মেরে ফেলে। জাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় সে তার অনুচরদের বলে যায়, মুক্ত হয়ে সে একটি জায়গা মৃতদেহের পকেটে তার কাগজপত্র রেখে দেবে। তার সঙ্গীরা সে জায়গার কথা বললে মুক্ত হতে পারবে। কিন্তু সে কথা বলার পরও সামরিক কর্মচারীদের একজন শেষ পর্যšত্ম গুলি করার আদেশ দেয়।
এ নাটকে সমাজতত্ত্ব ও রাজনৈতিক আদর্শের দিক থেকে সার্ত্রে একটা বড় কথা বলতে চেয়েছেন এবং তাহল নিজেদের স্বার্থকে ভুলে গিয়ে এবং আত¥পড়্গরে সমর্থনের চেষ্টা না করে আমাদের সকলেরই উচিৎ সামাজিক আদর্শের কাছে আত¥নিয়োগ করা। একথা তিনি বলেছেন গ্রিক চরিত্র ক্যানোরিসের মুখ দিয়ে, যে চরিত্র সমাজের সাথে মিলিত হতে চায়।