ম্যান উইথআউট স্যাডোজ

৳ 210.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১১২
সংস্কার 1st Pulished, 2021
দেশ বাংলাদেশ

নাটকের ঘটনায় দেখা যায় প্রতিরোধ আন্দোলনের একদল যোদ্ধা বন্দি হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি মেয়েও আছে। সামরিক কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে জানতে চায়, তাদের দলপতি জাঁ কোথায়। সোর্বিয়েরকে প্রথম উৎপীড়ন করা যায়, সে নিজেকে বীর বলে ভাবলোও সে কোনো কথা প্রকাশ করে না। এ সময় জাঁকে অন্যলোক ভেবে বন্দি করে আনা হয়। দলের একজন লোক গ্রিক, নাম ক্যানোরিস, সে নিজের দেশেও আগে অত্যাচারিত হয়েছে। সেও কিছু বলে না। দ্বিতীয় দৃশ্য মঞ্চে সোর্বিয়ের ওপর অত্যাচার করা হয়। সোর্বিয়েরকে আবার আনা হয় অত্যাচারের জন্য। সে সামরিক কর্মচারীদের ফাঁকি দিয়ে আত¥হত্যা করে। লুসীকে অত্যাচার করতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এ সময় জ্যঁ নিজের দলের লোকদের দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখে অনুতাপ অনুভব করে। কিন্তু তাকে বাঁচতে হবে। কারণ তা না হলে, আরো বড় বিপদ ঘটবে। লুসীর ভাই ফ্রাঁসোয়া খুবই ভীত হয়ে পড়ে এবং সে হয়তো গোপন কথা প্রকাশ করে ফেলতে পারে, এই ভয়ে জাঁ ও লুসীর সামনে হেন্রি তাকে গলা টিপে মেরে ফেলে। জাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় সে তার অনুচরদের বলে যায়, মুক্ত হয়ে সে একটি জায়গা মৃতদেহের পকেটে তার কাগজপত্র রেখে দেবে। তার সঙ্গীরা সে জায়গার কথা বললে মুক্ত হতে পারবে। কিন্তু সে কথা বলার পরও সামরিক কর্মচারীদের একজন শেষ পর্যšত্ম গুলি করার আদেশ দেয়।
এ নাটকে সমাজতত্ত্ব ও রাজনৈতিক আদর্শের দিক থেকে সার্ত্রে একটা বড় কথা বলতে চেয়েছেন এবং তাহল নিজেদের স্বার্থকে ভুলে গিয়ে এবং আত¥পড়্গরে সমর্থনের চেষ্টা না করে আমাদের সকলেরই উচিৎ সামাজিক আদর্শের কাছে আত¥নিয়োগ করা। একথা তিনি বলেছেন গ্রিক চরিত্র ক্যানোরিসের মুখ দিয়ে, যে চরিত্র সমাজের সাথে মিলিত হতে চায়।

জঁ-পল সার্ত্র (ফরাসি: Jean-Paul Sartre) (২১শে জুন, ১৯০৫-১৫ই এপ্রিল, ১৯৮০) ফরাসি অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং সমালোচক। তিনি ছিলেন অস্তিত্ববাদ ও প্রপঁচবিজ্ঞানের দর্শনে একজন পথিকৃৎ ও বিংশ শতকের ফরাসি দর্শন ও মার্ক্সিজমের অন্যতম প্রভাবশালী দার্শনিক। জঁ-পল সার্ত্র তার কাজের মাধ্যমে সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্যতত্ত্ব, উত্তর উপনিবেশবাদি তত্ত্ব ও সাহিত্য গবেষণায় ব্যপক প্রভাব বিস্তার করেছিলে। ফরাসী লেখিকা সিমোন দ্য বোভোয়ারের সাথে সার্ত্র-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল; তারা পরস্পর বন্ধনহীন প্রেমে আবদ্ধ ছিলেন। জঁ-পল সার্ত্র ১৯৬৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন তবে এই পুরস্কার গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানান; কারণ তার মতে একজন লেখককে কখনই নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে দেওয়া উচিত নয়।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ