বাংলাদেশি একজন আলিম যখন শায়খ আলী আস-সাবুনি, সাইয়েদ আরশাদ মাদানী, শায়খ আওয়ামা, বিচারপতি মুফতি তাকী উসমানী, ড. বাশশার আওয়াদ মারুফ, আলী সাল্লাবি, ড. হামযা আলী বাকরীর স্মৃতিকথা, সান্নিধ্য ও অনুভূতির বর্ণনা করছেন, তখন ব্যাপারটা স্ক্রল করে এড়িয়ে যাওয়ার পর্যায়ে থাকে না। এমন দৃশ্য ফিরে দেখার মতো। এ দৃশ্য যেন মনোযোগের হক নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে।
হ্যাঁ, এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই আমাদের বর্ণনা করছে শায়খ মাহফুয আহমদের বই ‘ইলম চয়নিকা’।
এই সংকলনটিকে সহজে বললে বলতে হবে ছড়ানো মানিক। মহামূল্য মণিমুক্তার এক বিস্তৃত সমাহার। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে আছে ইলমের একেকটি সাজানো খাজানা। যে খাজানা পাঠককে বিচিত্র বিষয়ের ইলম অর্জন করতে আহ্বান করছে। বিশেষ করে ‘মনীষী’, ‘স্মরণ’, ‘সান্নিধ্য’ অধ্যায়গুলো পাঠককে নিয়ে যাবে বর্তমান ও অতীতের বহু আহলে ফন বুজুর্গের মজলিসে। বইটির লেখক ঈর্ষণীয়ভাবে সমকালীন বুজুর্গ আলিমদের অনেকের সান্নিধ্য অর্জনের বিরল সৌভাগ্য লাভ করেছেন। সে সৌভাগ্যের কিছুটা এই পাঠককেও স্পর্শ করবে ইনশাআল্লাহ।
তবে বইটি কেবল স্মৃতিকথা আর সান্নিধ্যের সৌরভ নিয়েই না। এ সম্পর্কে লেখক লিখেছেন, “বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে অনলাইনে টুকটাক কিছু লেখালেখি করে আসছি। ছোট্ট ছোট্ট সেই লেখাগুলোর বিষয়বস্তু ছিল বিচিত্র। কখনো কুরআন-হাদীস থেকে আহরিত জীবনঘনিষ্ঠ কোনো শিক্ষার কথা তুলে ধরা হয়েছে, আবার কখনো শাস্ত্রীয় কিছু বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। তা ছাড়া মনীষীদের স্মৃতিচারণ, জীবিত মনীষীদের সান্নিধ্যে যাপিত সময়ের বিবরণ এবং তাদের বিজ্ঞবচন স্থান পেয়েছে এসব টুকরো লেখায়।”