‘ইতিহাস নির্মান ও আর্য সমস্যা’ বই এর ফ্ল্যাপের লেখা
মানব-প্রকৃতির অনুধাবনে ইতিহাস অপরিহার্য- বিশেষত এমন একটা সময়ে যখন জাতির রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক পরিসরগুলি দীর্ণ বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে পরস্পর বিরোধী শক্তির আস্ফালনে। সতত ভঙ্গুর এই দেশ এবং কালে বারংবার কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। আমাদের আত্মার যে পরিচয় ধরা থাকে ইতিহাসে- তার ভিত্তি খুঁজে ফিরি আমরা ভাষার অনুষঙ্গে। ইতিহাসের ভাষা আর ভাষার ইতিহাস- আপাত বিচ্ছিন্ন এই দুই প্রসঙ্গের মূলে আসলে কাজ করে নির্মাণ আর নির্মিতি সংক্রান্ত একটিই অনুসন্ধিৎসা ইতিহাস কী? ঐতিহাসিক সত্যাসত্যের বিচার করব কীভাবে? ঐতিহাসিকতা কীভাবে নির্ধারিত হয়? এই সকল হিজিবিজি প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে নাতিদীর্ঘ যৌথ এক উদ্যোগের আয়োজন- যে উদ্যোগ বয়েছে দুটি ভিন্ন খাতে। ইতিহাস নির্মাণের ভাষাকে একদিকে যেমন সে বুঝতে চেয়েছে, ঠিক একই রকম ভাবে আরেকদিকে সে বুঝতে চেয়েছে ভাষা সংক্রান্ত ঐতিহাসিক নির্মিতিগুলিকে। ‘ইতিহাস নির্মাণ ও আর্য সমস্যা’র প্রসঙ্গক্রমে এই বইটি তাই হয়ে ওঠে খোঁজাখুঁজির খতিয়ান বহমান সময়ের ধারায় মানব-প্রকৃতির উন্মোচনে তাই একে একে ভিড় করে আসে ভাষা, শরীর, স্মৃতি আর সমাধির মতো বিষয়গুলি। ছায়াপথের কোন এক অতলান্ত গভীরতায় বহুরূপী মানব-প্রকৃতির ঐতিহাসিকতা অনুরণিত হয় সমাজ এবং ব্যক্তি জীবনে।