দীর্ঘদিনের জমানো রাগ, ক্ষোভ কিংবা অভিযোগের হঠাৎ বহিঃপ্রকাশ অনেক বেশি মারাত্মক হয়। মাঝে মাঝে এত বেশি মারাত্মক হয়; যা আমাদের কল্পনাশক্তিকেও হার মানিয়ে দেয়। তখন জয়লাভ করে মনোসমীক্ষণের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের ইড আর হেরে যায় সুপার ইগো।
মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজনের মার্ডার অ্যানালাইসিস উপন্যাসে তেমন কিছু অন্তর্দ্বন্দ্বের ভয়াবহ বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়, যে বহিঃপ্রকাশগুলো তৈরি করে কিছু বীভৎস মৃত্যু, কিছু অসহনীয় পরিবর্তন, হিংসা কিংবা স্বার্থপরতা। যা মুহুর্তেই বদলে দেয় কিছু মানুষের সুন্দর এবং সাজানো জীবন।
বদলে যাওয়া জীবনগুলোও থেমে থাকে না আর, অস্তিত্ব ফিরে পেতে তারা নেমে যায় এক হার না মানা পাশবিক যুদ্ধে, যা থেকে জন্ম নেয় একটি লাশকাটা ঘর, কিছু মৃত্যু ফাঁদ এবং এক পশলা রক্তঝরা বৃষ্টি।