২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট পুঁজিবাদী বিশ্বের টালমাটাল অবস্থা তৈরি করেছিল। চিন্তার জগতেও বড় রকমের ধাক্কা লেগেছিল। অনেক পুঁজিবাদী তাত্ত্বিক পুঁজিবাদের অস্তিত্ব নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। মহামন্দা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা গেছে, এখনও তা বলা যায় না। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে লিখিত হয়েছে পুঁজিবাদের মৃত্যুঘণ্টা। কথাটি লেখক নিয়েছেন কার্ল মার্কসের বিখ্যাত পুঁজি গ্রন্থ থেকে। মার্কসের তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ-পদ্ধতি অনুসরণ করেই লেখক পুঁজিবাদের সর্বাধুনিক স্তরকে বিশ্লেষণ করেছেন।
পুঁজিবাদের মৃত্যুঘণ্টা গ্রন্থটি বস্তুত পুঁজিবাদের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ। একই সঙ্গে লেখক তুলে ধরেছেন আদি পর্ব থেকে বর্তমান পর্যায় পর্যন্ত পুঁজিবাদের ইতিহাস, প্রতিটি পর্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ। সমগ্র আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে বিভিন্ন যুগের ও বিভিন্ন ধরনের পুঁজিবাদী সংকট। এই আলোচনা থেকে লেখক সিদ্ধান্তে এসেছেন “সমাজতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প”।