ডাক্তার বনবিহারী ৷ মানুষের সেবা তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত ৷ উত্তরবাংলার গঞ্জ থেকে চলে এলেন সুন্দরবনের রামগঙ্গায় ৷ সঙ্গে বোবা মামণি ও তার শিশুপুত্র সন্তান ৷… প্রথম সিক্যুয়েল ‘দাউ দাউ আগুন’ ৷ সেই অধ্যায়ে আভাসিত ছিল কিছু এইসময়ের তরুণ-তরুণীর নতুন করে দেশের বুকে আগুন জ্বালানোর প্রয়াস, সমাজ বদলের স্বপ্ণ ৷ দ্বিতীয় সিক্যুয়েল ‘কাঠকয়লার আগুন’ ৷ সমরেশ মজুমদার বলছেন, ‘সন্তানের রক্তে কি পূর্বপুরুষ বা পূর্বসূরির অস্তিত্ব সুপ্ত থাকে ? বিজ্ঞান বলছে, জিন কথা বলে ৷ বনবিহারী তার আশ্রিতা মামণির শিশুর নামকরণ করেছিলেন, সন্তান ৷ যে তার মৃত বাবাকে দ্যাখেনি, মায়ের সঙ্গে যার কোনওদিন যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ হয়নি ৷ বনবিহারী চোখের ওপর দেখলেন, সন্তানকে তার বাবার পথে হাঁটতে ৷…’ বাবার পথে? এর অর্থ কী? ‘আগুনবেলা’ আসছে ? দুটি পর্বে বিন্যস্ত দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা আগুনঝরা-উপন্যাস ৷