নন্দিত রাজকুমার ব্যস্ত শহরের প্রান্তিক এক লেকের ধারে উঁচু স্তম্ভের ওপরে ছিল একটি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি ছিল এক সুখী রাজকুমারের। প্রতিমূর্তি দাঁড় করানো ছিল। ভাস্কর্যটির সারা গায়ে পাতলা সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো ছিল। তার চোখ দুটি ছিল দামি পাথরের। তার হাতের তলোয়ার বাঁটের ওপরে জ্বলজ্বল করছিল একটা বেশ মূল্যবান হীরা। সবাই এ ভাস্কর্যটি দেখে খুব প্রশংসা করত। চারুশিল্পীরা নিপুণ হাতে তৈরি করেছে এটি। প্রতিটি সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের মনকে মুহূর্তেই মনোরাজ্যের অন্তহীন আনন্দে আন্দোলিত করত ভাস্কর্যটি। অবসর পেলেই তার সৌন্দর্য অবলোকন করতে ছুটে আসত নানা বয়সের প্রকৃতিপ্রেমী হৃদয় আপ্লুত মানুষেরা। জনপ্রতিনিধিরাও পরিদর্শনে আসত তার অপরূপ দৃষ্টিনন্দনকে অম্লান করে রাখতে।