অনেকগুলো প্রিয় মুখ! হারিয়ে গিয়েছে। এইতো যাত্রাবাড়ির মোড়টা থেকে একটু গেলেই ওদের গোপন আস্তানাটি। যেখানে মিটিং হতো। সৌরভ, শোভা, নমিতা, মনোয়ারা, কচি, আরও কত নাম!! সবাই কী বেঁচে আছে? শুধু কচি আর নমিতার খোঁজ জানে। সৌরভ আর মনোয়ারকে হারিয়েছি চোখের সামনে। সোভার খবর পাওয়া যায়নি।
হাঁটতে হাঁটতে মন্ত্রমুগ্ধের মতোই কখন এসে দাঁড়িয়েছে স্বাতী বাড়িটার সামনে। এইতো সেই বাড়ি! কেউ কি আছে এখানে? কতদিন এসেছে স্বাতী এখানে শোভার সঙ্গে মিটিং করতে! তারপর নিজেই আসতো। মাঝে মাঝে রাত হয়ে যেতো। খেয়াল থাকতো না কারও। ভুলে যেতো বাবাÑমা, সংসার, ক্ষুধাÑতৃষ্ণা সমস্ত কিছু। ছকে ছকে সাজাতো, প্ল্যানের পর প্ল্যান করে যেতো। যে কোনো সময় ডাক আসতে পারে। ঝাঁপিয়ে পড়বার প্রস্তুতি, যখন সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় শেষ তখনই এলো পঁচিশে মার্চের কালো রাত্রি। আর তার কিছুদিন পরই ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছিল ওদের দেশকে স্বাধীন করতে।
দেশ মা! মা মাটি!!
জননী জন্মভ‚মি!!!
মা মাটি ও ভালবাসা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি মনোগ্রাহী উপন্যাস।