কবিতাই কবির জীবনীশক্তি। প্রকৃতিগত ছন্দময় উচ্ছল জীবনীশক্তির বহিঃপ্রকাশ কবির একমাত্র অভিপ্রায়। উপযুক্ত ভাষায় এবং অফুরন্ত ইচ্ছেশক্তি প্রয়োগ করে কবি নিজস্ব শব্দভাণ্ডার থেকে কবি একেকটা পঙ্ক্তি রচনার মাধ্যমে মালা সৃষ্টি করেন। এমন মোহন সৃষ্টির গ্রন্থণা সম্ভব হয় নিরন্তর মগজ ও মননের উৎকর্ষ থেকে। সেই সঙ্গে অবশ্যই কবিকে জারিত করে স্থানিকতা এবং পরিপার্শ্বের মনোরম পরিবেশ। প্রাত্যহিক সহজ সরল গ্রাম-বাংলার যাত্রাপট এবং অযাচিত ঝঞ্ঝাটময় জীবনের তুফানপালা উঠে আসে কবির স্বপ্নে। সঞ্চারিত হয় অভিজ্ঞতাপ্রসূত প্রশ্নের জাল এবং বিশ্লেষণের উত্তর কবিতার প্রতিটি পদে। এখানেই কবির সাফল্য।