কৈশোরের স্মৃতিরা পালতুলে বয়ে যায় মায়াবতী নদীর তীর ঘেঁষে। হঠাৎ হৃদপিণ্ডে লাগে স্মৃতির বড়শির টান। খুলে যায় মখমলে জড়ানো রবি’র কৈশোরের স্মৃতিময় নিশিগন্ধ্যার শিশি। বয়সে বড় সন্ধ্যা দিদি; মুগ্ধতা আর স্নিগ্ধতায় গড়া। যে নারীর শরীরের ঘ্রাণ অহর্নিশ তাড়া করে। স্নানরত সেই পঞ্চদশীর অকস্মাৎ উন্মিলিত বক্ষদেশ সদ্য যৌবনে পা দেয়া রবি’র হৃদয়ের বীজতলায় বপন করে এক দুর্দমনীয় স্বপ্নের বীজ। এ কি প্রেম নাকি অন্য কিছু! অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ধ্বংসের পর চন্দ্রপুর আর রোসাঙ্গী গ্রামে সেদিন কী ঘটেছিল? যে ঘটনাকে পুঁজি করে ক’জন মানুষখোঁজে নারীর শরীর! সব নারী প্রতিবাদি হতে পারে না। কেউ কেউ দুমড়ে-মুচড়ে থাকে অন্তপুরে। বেদনার রাশি রাশি নীল কষ্ট নিঃশব্দে ঝরে শিশিরের মতো। এ ক্ষরণের, এ দলনের বাহিরটা আমরা দেখি। ভেতরটা? হঠাৎ রবির হাতে আসে একটি ডায়রি। ডায়রির পাতায় পাতায় সন্ধ্যা দিদির প্রেম, বুনো ঘ্রাণ আর না-জানা কথামালা। কিশোর রবির অসম প্রেমের সিঁড়ি বেয়ে তৈরি হওয়া গল্পের শেষ কোথায়? দুই তীরের আনন্দ-বেদনার কথামালা নিঃশব্দে ধারণ করে চলে বহতা মায়াবতী। বেদনার অশ্রু মিশে তৈরি হয় নোনাজলের কাব্য।