শাশ্বত নিপ্পনের গল্পে একেবারে সাদা চোখে জীবনের তলানি পর্যন্ত দেখা যায়; বর্ণনার এই স্ফটিক স্বচ্ছতাই তাঁর গল্পের প্রাণসম্পদ। মেঘমল্লার তাঁর তৃতীয় গল্পগ্রন্থ। এখানে তিনি ঐতিহ্য সচেতন এবং শেকড়সংলগ্ন হবার প্রয়াসী হয়েছেন। তাঁর গল্পে কত-না বিচিত্র বিষয় উঠে এসেছে, গল্পপাঠের পর মনে হবে এই ছবি বুঝি-বা গল্পকার সরাসরি প্রত্যক্ষ করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন। পাঠক গল্পের মধ্য দিয়ে পরিচিত হয়ে ওঠেন মুক্তিযোদ্ধা, নীলকর সাহেব, জমিদার অথবা মসজিদের ইমামের সঙ্গে অথবা দেশ বিতাড়িত মানবিক যন্ত্রণা– নিমেষে ঘুচে যায় সময়ের দূরত্ব। পাঠকের সঙ্গে গল্পের চরিত্রের নৈকট্য স্থাপনের এই দক্ষতা কথাশিল্পী হিসেবে শাশ্বত নিপ্পনের সাফল্যকেই তুলে ধরে। তাঁর গল্পে আবহমান গ্রামবাংলার চিরায়ত ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিককালের মানবিক সংকট ও সংঘাত। রফিকুর রশীদ কথাসাহিত্যিক