নিপুণভাবে দর্শনের রং দিয়ে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা, বিশ্বাস ও আবেগের প্রতিচ্ছবি আঁকতে পারাই একজন কবির বড় সার্থকতা। মানবজাতির প্রত্যাশার সাথে কবির অভিমত যত নৈকট্য লাভ করে কবিতার প্রাণ তত অমরত্ব পায়। কবি মোস্তাফিজার রহমান তার লেখায় মানুষকে আবিষ্কার করেছেন বহুরৈখিক নেত্র দিয়ে। ফলে বিচিত্রতা ও অভিনবত্ব তার কবিতার ভাষা হয়ে উঠেছে। পরিশীলিত উচ্ছ¡াস ও মানবিক উচ্চারণকে তিনি বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। তথাপি বিরূপতা ও বিষণœতার অভিঘাতকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেননি। সংগত কারণেই তিনি সময়ের বস্তুমুখী সমাজ ভাবনার একজন ঐশ্বর্যশালী কবি হিসেবে আবিভর্‚ত হয়েছেন। কালান্তরের নিয়মে তার কলম, সমাজ ও জীবন আলাদা হওয়ার নয়। অবধারিতভাবেই বলা যায় তার কবিতা স্বকীয় শৈলী ও শক্তিগুণেই বেঁচে থাকবে এবং ভবিষ্যতের সাথে কথা বলবে।