গল্প বর্ণন ও শ্রবণ মানুষের স্বভাবজাত। গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে পৃথিবীজুড়ে গল্পেরই শাসন চলছে। বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারতে কত শত গল্প। ভারতের অষ্টাদশ মহাপুরাণে কত হাজার হাজার গল্প। গ্রীক পুরাণেও তাই। ধর্মগ্রন্থগুলোতে গল্পের কী বিপুল সমাহার! স্বকৃত নোমান মনে করেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই গল্প আছে। এক মুহূর্তের একটি দৃশ্য হয়ে উঠতে পারে গল্প। ছোট্ট একটি ঘটনা একটি গল্প হয়ে উঠতে পারে। মানুষ এবং মানবেতর সকল প্রাণীর জীবনের একটি খণ্ডাংশ হয়ে উঠতে পারে একটি গল্প। একটি শব্দ থেকেও উঠে আসতে পারে একটি গল্প। স্বকৃত নোমানের ¯্নায়ুতে ইতিহাস-চেতনা আর মর্মে রাজনৈতিক ভাঙাগড়ার দোলাচল। সেখানে সমকালকে চিরকালে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। আবার সমকালকে সমকালেই ছেনে দেখার লীলাও তাঁকে নাড়িয়ে দেয়। তিনি সাড়া দেন ছোটগল্প লিখে। এজন্য হয়ত চলার পথে তিনি একটি একটি করে ছোটগল্পের খুঁটি গাঁড়েন। সমকাল ও চিরকালের ঠোকাঠুকিতে তাঁর গল্পগুলিতে বার বার দেখা দেয় জীবনের ফুল ও ফুলকি। তাঁর গল্পগুলি আমাদের স্বস্তি দেয় না, বরং প্রশ্নকাতর করে, আঘাত করে আমাদের প্রচলিত জীবনযাত্রা, রীতিনীতি ও জীবনভাবনায়।