আয়না দিঘি

৳ 200.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849649854
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৬৪
সংস্কার 1st Published, 2022
দেশ বাংলাদেশ

গল্প-শিল্পসত্তার অবিনাশী বোধ, শূন্যতার দায়, প্রয়োগের কলাকৌশলে নির্ণীত খেলার দাগমরিচ। কবির বোধন সত্তার ছাল বাকলে গল্পও হয়ে ওঠে পৌরাণিক বাহন বা উড়ন্ত ডানার মায়াপাখি। মুহম্মদ নূরুল হুদা কবিসত্তার শিকলগাঁথায় নিজেকে কখনো কখনো সঁপে দিয়েছেন গল্পের মাস্তুল পতাকায়। তারই অনন্ত সাক্ষ্য আয়না দিঘি।
আয়না দিঘি গল্পবইয়ের গল্পগুলো পাঠ করবার আগে পাঠকদের মনোজমিনে সময়ের কাঁটা-কম্পাস মনে রাখা খুব জরুরি। সময় তো প্রতিমুহূর্তে অতীতের জাল বা ঘূর্ণিপাক। গল্পকার মুহম্মদ নূরুল হুদার এই বইয়ের গল্পগুলোর রচনাকাল গত শতকের সত্তর দশকের পরিধি-সময়ে ব্যাপ্ত। সময় নিজেই চরিত্র—সেই সময়ের চরিত্র এবং মানুষের চরিত্র ভূভাগ কেন্দ্র করে যে আবর্তন, বিবর্তন, বিয়োজন—সেই রূপকল্প গল্পের বিস্তারে অঙ্কন করেছেন গল্পকার মুহম্মদ নূরুল হুদা।

মুহম্মদ নূরুল হুদা ১৯৪৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোহাম্মদ সেকান্দর ও মাতা আঞ্জুমান আরা বেগম। মূলত কবি তিনি। তবে কথাসাহিত্য, মননশীল প্রবন্ধ ও অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি বিচরণশীল। অতিপ্রজ ও সব্যসাচী এই লেখকের স্বরচিত, অনূদিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রাপ্ত পুরস্কারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), যশোর সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), আবুল হাসান কবিতা পুরস্কার (১৯৮৩), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), কক্সবাজার পদক (১৯৮৯), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৪), আহসান হাবীব কবিতা পুরস্কার (১৯৯৫), যুক্তরাষ্ট্রের আই.এস.সি ঘোষিত পয়েট অব ইন্টারন্যাশনাল মেরিট ও পয়েট অব দ্য ইয়ার (১৯৯৫), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্তৃক প্রদত্ত নজরুল জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), জীবনানন্দ জন্মশতবার্ষিকী সম্মাননা (১৯৯৯), সুকান্ত পুরস্কার (২০০৪), একুশ-উনিশে ভাষা গৌরব শীর্ষক ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সম্মাননা (২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১২) ইত্যাদি। ১৯৯৭ সালে তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি সুলেমান ডেমিরিল কর্তৃক বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর বাংলা একাডেমিতে চাকরি বদল। এখানেই বিকশিত তাঁর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সময়। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব। বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের লেখকদের সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সভাপতি। তিনি আন্তর্জাতিক লেখক দিবসের প্রবক্তা। সাহিত্য-সাধনার পাশাপাশি সাহিত্য-সংগঠক হিসেবেও তিনি সর্বমহলে সমাদৃত।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ