মাঝে মাঝে মনে হয়—আমার আর নেক আমলের মধ্যে কেউ একজন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এক-পা দু-পা করে সৎ কাজের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাই! অথচ মনে হয়, পেছন থেকে কেউ আমার পা ধরে টানছে। ভেতর থেকে কেউ একজন তাকে সাহায্য করছে। ভেতর থেকে ক্রমাগতভাবে বাধা-বিপত্তি আসছে।
নফসের ধোঁকায় পড়ে আমরা কতশত গোনাহ করছি, তার কোন হিসেব নেই। নিভু নিভু প্রদীপ থেকে আলো গ্রহণ করতে গিয়েও, বঞ্চিত হতে হয়েছে বহুবার। যখনই কোন নেক কাজ করতে যাই, তখনই সেখানে নফসের বাধা আসে। যখনই অশ্লীলতা থেকে দূরে সরে থাকতে চাই, তখনই নফসের প্ররোচনা শুরু হয়ে যায়। মোটকথা, আমরা যত গোনাহ-ই করছি, বেশিরভাগ নফসের ধোঁকায় পড়েই করছি।
বই: নফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক: মাহমুদ বিন নূর
চারপাশের শত্রুরা শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে জাল বিছিয়ে রাখলেও, শয়তান কিন্তু আমাদের ঈমান হরণের উদ্দেশ্যে জাল বিছিয়ে রাখে। এদিকে আমরা, সেই জালে আটকে পড়ে খুইয়ে ফেলি ঈমানের মতো উৎকৃষ্ট বস্তু। অতঃপর, গুনাহের চাদর গায়ে দিয়ে, ধাবিত হই শয়তানের বাগানে।
বনি আদমের প্রকাশ্য শত্রু — ‘শয়তান’ । এই শত্রুর দ্বারাই আমরা সবচে’ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। গুনাহের যতগুলো দরজা, তা শয়তানের দ্বারাই উন্মোচিত হয়। আর তাছাড়া, শয়তান যে আমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তা আল্লাহ তাআলা নিজেই বলে দিয়েছেন । আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا ۚ
“শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর”। সূরা ফাতির- ৬
বই: শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক: মাহমুদ বিন নূর