বইটির শিরোনামই বলে দেয় মূল বিষয়বস্তু কী। আর তা যে বেজে ওঠে বিবাগী বাঁশির সুরে, সেটা নিহিত আছে বইটির ঠিক প্রথম বাক্যেই। এ সুরই অধিকাংশ গল্পের মূল সুর। কাজেই পাঠককে খুব বেশি কষ্ট স্বীকার করে বিষয়বস্তুর সন্ধানে ব্যাপৃত হতে হয় না। প্রকরণে রয়েছে ঝরঝরে ভাব। প্রাঞ্জল, মেদুর গদ্যভাষায় বুনেছেন প্রবাসীদের জীবনগাথা। সে বুননে যেমন ছন্দ আছে তেমনই আছে বিষয়-বৈচিত্র্য। কিছু কিছু গল্প দার্শনিকতা বোধেও ঋদ্ধ। যদিও কোনো বিষয়কেই পুরোপুরি ধরা যায় না কোনো গল্প-উপন্যাসে, তবু সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, প্রবাসী তথা গোটা জীবনের রূপ, রস, শ্রুতি, গন্ধ, স্পর্শকে শৈল্পিকভাবে বিধৃত করার ঐকান্তিক প্রয়াস প্রতীয়মান বইয়ের গল্পসমূহে।