এই চিঠিগুলো লিখেছিলাম আমার মেয়ে ইন্দিরাকে ১৯২৮ সালের গ্রীষ্মকালে, যখন সে ছিল মুসৌরীতে আর আমি ছিলাম নিচের সমতলে। এগুলো দশ বছরের ছোট মেয়েকে লেখা ব্যক্তিগত চিঠি। কিন্তু বন্ধুরা এই চিঠিগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে বলেন যে, আমার উচিত এগুলো পাঠকদের কাছে প্রকাশ করা। এই বন্ধুদের পরামর্শ সাধারণত আমি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। জানি না এ চিঠিগুলো অন্য ছেলেমেয়েদের ভালো লাগবে কি না। আশা করি তাদের মধ্যে যারা এগুলো পড়বে তারা আস্তে আস্তে আমাদের এই পৃথিবীকে বিভিন্ন জাতি নিয়ে তৈরি একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে ভাবতে শুরু করবে। এবং কিছু সংশয় থাকলেও এও আশা করি যে, চিঠিগুলো লেখার সময় যে আনন্দ আমি পেয়েছি এগুলো পড়ে তারাও কিছুটা সেই আনন্দ পাবে।
চিঠি লেখা হঠাৎ শেষ করতে হয়েছে। দীর্ঘ গ্রীষ্মকাল একদিন শেষ হয়ে এলো এবং ইন্দিরাকে পাহাড় থেকে নেমে আসতে হলো। ১৯২৯ সালের গ্রীষ্মকালে মুসৌরী বা অন্য কোনো শৈলশহরে ইন্দিরার আর যাওয়া হয়নি। শেষ তিনটি চিঠিতে একটি নতুন যুগের কথা বলতে শুরু করেছিলাম, এগুলো হয়ত কিছুটা বেমানান লাগবে। আর লেখার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম, সেজন্যে সেগুলো এখানে দিয়েছি।