প্রতিটি মানুষের নিয়তি রয়েছে। তাকে ওই নিয়তির পথে চলতেই হবে। যে ওই পথে চলবে এবং চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করতেই হবে। এই পথচলা ফুলবিছানাে পথে হবে না। নানা সমস্যা আসবে, সেগুলাে অতিক্রম করতে হবে। তিনি দেখিয়েছেন যে ভালােবাসা, অন্তরাত্মার ডাকে এগিয়ে যাওয়ার পথে কোনাে কিছুই বাধা নয়। আর এগিয়ে গিয়ে যে প্রাপ্তি হবে তা অনেক বেশি। তা এতই বেশি যে কল্পনাকেও হার মানাবে। অ্যালকেমিস্ট ওই স্বপ্নপূরণের পথেই ছুটতে তাগিদ সৃষ্টি করে। প্রথমে জানতে হবে আমাদের মনের গভীরে থাকা স্বপ্নটি কী। তা জানা কঠিন কোনাে কাজ নয়। একেবারে শৈশবেই স্বপ্নটি মানুষকে তাড়া করতে থাকে, স্বপ্নপথে ছুটতে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। কেউ কেউ বুঝে চলতে শুরু করে, কেউ বােঝেই না বা বুঝলেও নানা কষ্ট আর জটিলতার কথা ভেবে ঝুঁকি নিতে চায় না। তারা ব্যর্থই হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ কিছু দূর গিয়ে থমকে যায়, সামান্য প্রলােভনেই পথ হারায় বা পথ থেকে সরে যায়। সাময়িক আত্মতৃপ্তি সে পেলেও চুড়ান্তভাবে বঞ্চিত হয় এবং তা তাকে বাকি জীবন তাড়া করতে থাকে। আর দুঃস্বপ্ন তার সব সুখ কেড়ে নেয়।
অ্যালকেমিস্ট আমাদের শেখায়, স্বপ্ন কোনাে প্রতিবন্ধকতাই অজেয় নয়। যেকোনাে বয়সে, যেকোনাে পরিস্থিতিতে, যেকোনাে সময়ে মানুষ তার স্বপ্নের পথে চলতে পারে, নিয়তির কাছে পৌছাতে পারে। আর এর মাধ্যমেই তার জীবনকে সে স্বার্থক করতে পারে।
অ্যালকেমিস্টের স্বার্থকতাই এখানে। আর এ কারণেই বইটি বেস্ট সেলার ।