ফ্ল্যাপে লিখা কথা প্রযুক্তির উৎকর্ষে নতুন ঢঙে সেজেছে বিশ্ব, এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। আবার এই প্রযুক্তির সহায়তায় বেড়ে গেছে নারী উৎপীড়ন, নারী নির্যাতন। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট- ফেসবুক। ফেসবুক, ই-মেইল, মুঠোফোনের ব্যবহার- অপব্যবহার নিয়ে গড়ে উঠেছে উপন্যাসটি । প্রাসঙ্গিক টানে উঠে এসেছে তরুণ প্রজন্মের মনস্তত্ত্ব, বন্ধুত্ব, শিক্ষাজীবন, পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র। ভুল করে কিংবা কৌতূহলের বশে টিনএজার ও তরুণ-তরুণীরা জড়িয়ে যাচ্ছে সাইবার ক্রাইম, সামাজিক অপরাধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের সঙ্গে। সর্বনাশ ঠেকাতে প্রয়োজন শক্ত পারিবারিক মায়ার বাঁধন, ব্যক্তিসচেতনতা, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ। মূল্যবোধই ঠেকাতে পারে সন্তানের পতন, উজ্জ্বল করতে পারে শিক্ষাজীবন।
চেনা বন্ধুরাও হয়ে যায় অচেনা- চেনা পথ থেকে অনেকে চলে যায় অচেনা পথে। অচেনা পথের চিত্র ভয়াবহ। একবার ওই সর্বনাশা পথে নেমে গেলে ফিরে আসা কঠিন। পাতানো ফাঁদ ও বাঁকা পথের চিত্র দেখা যাবে উপন্যাসে- শব্দবিন্যাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ঈর্ষা, প্রতিহিংসা, ক্রোধের প্রতিক্রিয়া ও আত্মশুদ্ধির মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ দেখতে পাবেন পাঠক। কুফল বাদ দিয়ে বিজ্ঞানের সুফল গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্মকে এগোতে হবে আলোর দিকে … গড়ে তুলতে হবে শিক্ষাজীবন, আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।