পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসাবে কর্মরত ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল শুধু একজন খ্যাতিমান অর্থোপেডিক সার্জনই নন, তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক। তিনি একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, সায়েন্সফিকশন ও কলাম লেখক এবং অনুবাদক। প্রথম কবিতার বই একজন স্বপ্নপুরুষের কাছে মৃত্যুর অনুবাদ প্রকাশিত হয় ছাত্রাবস্থায়। অন্যদিন পত্রিকায়। প্রকাশিত তার পৃথিবীর মৃত্যুতে কাঁদেনি কেউ কবিতাটি বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম কোনাে সায়েন্স ফিকশন কবিতা।
সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। দৈনিক ইত্তেফাক ও আজকের কাগজ-এর স্বাস্থ্যপাতার। সম্পাদক ছিলেন। স্যাটায়ার ম্যাগাজিন উন্মাদ-এর পরিকল্পনা বিভাগে ছিলেন। রহস্য পত্রিকার নিয়মিত লেখক। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। তিনি জাতীয় পর্যায়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক,
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসােসিয়েশন (বিএমএ)-এর নির্বাচিত সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার ও জনসংযােগ সম্পাদক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সােসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ পল্লী শিশু ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ হেলথ রাইটার্স ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব এবং বাংলাদেশ শিশু সাহিত্যিক ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা বাের্ডের ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গভর্নিংবডির সাবেক সদস্য এবং বর্তমানে ফজলুল হক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিংবডির সম্মানিত সদস্য। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ও অত্র কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও ট্রমাটোলজি বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক।
পুরস্কার ও সম্মাননা: আনােয়ারা-নূর পুরস্কার ১৯৯৯, এফজেএ অ্যাওয়ার্ড অব ফ্রিডম ২০১২, মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ২০১২, মে দিবস সম্মাননা ২০১৩, মানবাধিকার শান্তি পদক ২০১৬, ফিদেল কাস্ত্রো পদক ২০১৭, অগ্রণী ব্যাংক- শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, বাংলাদেশ কবি সংগঠন কর্তৃক প্রদত্ত গুণীজন সম্মাননা পুরস্কার ২০১৯, ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস কর্তৃক প্রদত্ত কোভিড-১৯ হিরাে এওয়ার্ড ২০২১, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতা স্মারক সম্মননা-২০২১ এবং নেপাল ইন্টারন্যাশনাল আইকোনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২১।