প্রথম ফ্ল্যাপের লেখাঃ
জানা নাই কানা তাই! এই কারণে আমি প্রথমেই জানাই, ছড়ার আসল ইতিহাস। গোমর করে দিলাম ফাঁস। তাতে বাড়তে থাকবে ছড়ার চাষ। তো শুরুটা হলো এক ছিল ছ’। একদম একা, কারো সাথে জন্মের পর হয়নি দেখা। বহুদিন একা একাই ছিল। আর কাহাতক? নিজের অজান্তেই চলে যায় ছাতায়, ছাগলে, ছালায়, ছলাকলায়! ওদের সাথে ছোটাছুটি করতে করতে একদিন হঠাৎ ড় এর সাথে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে গেল! ছ আর ড় হাত বাড়িয়ে কিছুক্ষণ “খাড়াইয়া থাকে। খেয়াল করুন ড়ে। হাত মিলাতে চায়, এমন তাই না? ছয়দিন হয়রাত ছড়াছড়ি, জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকে, বসে থাকে, গড়াতে থাকে। রাতে দিনে বাড়ে সমানে সমানে! যেই দেখে সেই অবাক হয়। সারাক্ষণ ছুটাছুটি করতে ওদের ভালোলাগে। কিন্তু অন্যদের ভালো লাগে না। তাই তারা করলো কী? ছ এর পরে ড্র এর পাশে লাগালাগি করে একটা শুপারি গাছ লাগিয়ে দিল! তাতে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি বন্ধ হলেও গাছ বেয়ে উঠানামার আরেক দিগন্ত পেয়ে গেল। ফলে ওরা দুটায় ঐ গাছে ওঠে নামে, নামে ওঠে। যাকে বলে বিরতিহীন, সারাদিন, সারারাত। এইভাবে অতি ব্যবহারে ঐ শুপারি গাছটা গেল মরে! তাতে ওরা বিস্মিত হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। কয়দিন শোক প্রকাশ করে গাছকে অমরত্ব প্রদানের জন্য ছড় এর শেষে মরা গাছটাকে ড় এর শেষে দাঁড় করিয়ে দিল। তাতে কী হলো? ছ ড় 1= “ছড়া’! কিন্তু তাই বলে স্বভাব যায় কীভাবে? অমরত্ব দিলেও ছ আর ড় এর স্বভাবই হলো ছড়িয়ে, গড়িয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা। বাংলাভাষায় আমার জানামতে এইভাবে ‘ছড়া’ শব্দটি এসেছে। বিশ্বাস না করলে অবিশ্বাসেরও তেমন কিছু নেই। দেখুন, পড়ুন আমার ছড়াগুলোর স্বভাব ঐরকম কি না?