৩রা অক্টোবর রোববার আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর এবং বেদনাদায়ক একটি দিন। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে আমার প্রিয় সহধর্মিনী আমাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্যে চলে গেলেন সুন্দর এ পৃথিবী থেকে।
মৃত্যুÑ মুহূর্তে আমি তার শিয়রের কাছেই বসেছিলাম। আমি তার নাড়ির স্পন্দন পরীক্ষা করলামÑ দু’হাত দিয়ে বুকে চাপ দিলাম। কিন্তু…. আমি চাদর টেনে তার পুরো শরীরটা মুখ পর্যন্ত ঢেকে দিলাম। ওকে নার্সিং করার জন্য একজন নার্স রেখেছিলাম। হাসপাতালে এবং বাসায় নার্স সীমা প্রায় দু’মাস আমার স্ত্রীর দেখভাল করেছে। সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছিল; কিন্তু আমি শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলামÑ আমি কাঁদতে পারিনি। এখন কাঁদছিÑ কান্না থামাতে পারিনা। পেশা, আদর্শ, আচার-আচরণ সব দিক দিয়ে আমাদের দু’জনের মধ্যে অপূর্ব মিল ছিল। আমাদের মধ্যে ছিল প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। ওকে হারিয়ে আমি নিদারুণ দুঃখ-বেদনা এবং সীমাহীন কষ্ট নিয়ে প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করছি। কষ্টের প্রহর কবে শেষ হবেÑ জানিনা।
৩ অক্টোবর, সোমবার, রাত ৮টা ৩০ মিনিটে হাটপাগলা স্কুল মাঠে জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ির বাগানে বাবা-মার কবরের পাশে দাফন করা হয়।