ছোটো রাজকুমার রাসেল বাবার খুব নেওটা ছিল। বাবাকে কেবল কাছে পেতে চাইত রাসেল। রাসেল যখন বড়ো হয়ে উঠছে তখন বাবা রাজনীতির মধ্যগগনের সূর্য। শাসকচক্রের রোষানলে তাঁর মাসের পর মাস কাটছে কারা কুটিরের অন্ধকারে। এদিকে ছোট্ট রাসেল কেবল বাবার কাছে যাওয়ার জন্য গোঁ ধরে। মা, বড়ো বোন আর পরিবারের অন্যরা রাসেলকে নিয়ে পড়ে বিপদে। রাসেলকে কারা কুটিরে বাবার কাছে নিয়ে গেলে সে আর আসতে চায় না। আবার তাকে আসার জন্য জোর করলে সে বাবাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চায় বাসায়; যা ছিল অসম্ভব। ¯^াধীনতা লাভের পর তাই রাসেল বাবার সঙ্গ ছাড়তে চাইত না। বাবাও যতদূর সম্ভব তাকে সঙ্গে সঙ্গে রাখতেন। ছোটো রাজকুমার রাসেল ছিল দুই রাজকুমারীর চোখের মণি। ছোটো ভাইটিকে চোখে চোখে রাখত তারা। রাখত কোলে কোলে, যদি সোনা ভাইয়ের তুলতুলে গায়ে একফোঁটা ধূলাবালি লাগে, কাঁটার আঁচড় লাগে! আহ, আদরের ছোটোভাই, ভালোবাসার ধন! ছোটো রাজকুমার যেন দুই রাজকুমারীর খেলার পুতুল! কোথায় হারাল সেই পুতুল! এই চিরশিশু, তুলতুলে পুতুল রাসেল সোনার জন্য মানবতার পুঞ্জীভ‚ত হাহাকারের সংকলন এই গ্রন্থ। এই গ্রন্থের মাধ্যমে মানবতার জাগরণ ঘটুক।