ঘটনাটা ১৯৯২ সালের। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলাধীন কুতুপালং এলাকায়। ছোট ছোট টিলা আর গাছপালায় ঘেরা কুতুপালং। সদ্য পাস করা ডাক্তার আরিফ রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য সেখানকার একটি মেডিক্যাল সেন্টারে যোগ দেয়। প্রথমদিকে একাকিত্ব তাকে বিষন্ন করলেও পরে পাহাড়, নৈসর্গিক পরিবেশ তাকে আকর্ষণ করে এবং একরাশ মুগ্ধতা নিয়েই কুতুপালংয়ে কাজ করতে থাকে ডাক্তার আরিফ। কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চল বলে কথা। নানা পেশার মানুষ, অন্য ধরনের ভাষা এবং ভিন্ন জীবনপ্রণালি তাকে মুখোমুখি করে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার। পাহাড়ের পাদদেশেই ছিল আরিফের মেডিক্যাল সেন্টার এবং থাকার ব্যবস্থা। মেডিক্যাল সেন্টারের গা ঘেঁষে বিশাল এলাকাজুড়ে পাহাড়ের গায়ে ছিল অসংখ্য কবর। কবর নিয়ে প্রচলিত আছে বিচিত্র গল্প। সেই গল্পের সাথে যোগ হয় আরও একটি ভূতের গল্প, যার অন্যতম সাক্ষী আরিফ। এই গল্পটি এখনো কুতুপালং এলাকার মানুষের মুখে মুখে ভূতের গল্প হিসেবে প্রচলিত আছে। কিন্তু কুতুপালংয়ের ভূতরহস্য জানতে হলে পড়তে হবে এই বই।