বিশ্বশান্তি ও বিশ্বরাজনীতি বড়ো টালমাটাল অবস্থায়। দুর্বল রাষ্ট্রগুলো অসহায়। আর জাতিসত্তার নিপীড়ন তো চলেছেই- ফিলিস্তিনি আরব থেকে কুর্দি হয়ে রোহিঙ্গা, ভিন্নমাত্রায় আফগানিস্তান। আর পাকিস্তান রক্তাক্ত শরীর নিয়ে ধুঁকছে সে কোন পথ ধরবে? দ্বিধা বিভক্ত সামরিক শক্তি তাকে এই বেহাল দশায় ফেলেছে, যে কারণে একজন ক্রিকেট নায়ককে পুতুল প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে হলো। তাতেও সমস্যার সমাধান নেই। এখন তার ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। গভীর রাজনৈতিক জটিলতায় নিমজ্জিত পাকিস্তান। এর মধ্যে তালেবানি শাসনের আহŸান জটিলতা বাড়িয়ে তুলেছে।
আফগানি তালেবানদের বিশ্বাস ছিল, মার্কিন সেনা প্রভাবমুক্ত হতে পারলেই তারা নিশ্চিন্তে তালেবানি শাসন চালাতে পারবে। কিন্তু তা হয়নি। মার্কিন সেনামুক্ত হওয়ার পর পশ্চিমা অনুদান বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় অর্থনৈতিক গভীর গাড্ডায় এখন আফগানিস্তান। তদুপরি আই-এস-এর যখন তখন হামলা ক্ষমতা দখলের বা অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে।
একটি শান্তিপ্রিয় দেশকে সোভিয়েত প্রভাবমুক্ত করতে গিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতায় কী অঘটনই না ঘটাল মার্কিন বিদেশনীতি আফগানিস্তানে। যেমন দুরবস্থা গণতন্ত্রী বা প্রগতিবাদীদের, তেমনি শিক্ষিত নারীদের। এসব সংবাদে দেশ বিদেশের পত্রিকার পাতা ভরপুর। বাদ যায় না বিখ্যাত ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। এর প্রত্যক্ষ প্রতিবেদনে গা শিউরে ওঠে।