ফ্ল্যাপে লিখা কথা
তাজুল মোহাম্মদের জন্ম কুলাউড়া থানার সাধনপুর গ্রামে। অল্প বয়সেই ছাত্র-রাজনীতির হাতেখড়ি। দক্ষিণ কুলাউড়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি (১৯৭১), কুলাউড়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৪), কুলাউড়া থানা ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৭), সিলেট জেলা ক্ষেতমজুর সমিতির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (১৯৮২-৯২) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য (১৯৮৪-৯২) হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানি জামানায় তৃতীয় বিভাগ উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি রোধের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলন, পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি বিই বিরোধী আন্দোল, এবং ১১ দফার ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের কর্মী হিসেবে পরিচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে কুরিয়ারের দায়িত্ব পালন এবং পরবর্তীতে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ছিল সম্পৃক্ততা। তাজুল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সফল ক্ষেতমজুর আন্দোলন হয়েছে এওলারটুকে, চারখাইয়ে এবং বালাগঞ্জে।
সাংবাদিকতায় পথ চলা ‘জয়ধ্বনি’ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে। তারপর নতুন বাংলা এবং একতা। একতার সূত্র ধরেই ঢাকার নামি পত্রিকাগুলোর সাথে সম্পর্ক। সচিত্র সন্ধানী, জনকণ্ঠ, সংবাদ আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, এই সময়, সন্ধীপ প্রভৃতি কাগজে ধারাবাহিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে। আর প্রায় সব ক’টি এখন গ্রন্থবদ্ধ। বালাগঞ্জ উদীচির সহ-সভাপতি এবং জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন দু’দুবার। একই সময়ে খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির দু’বার সহ-সভাপতি এবং জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টার খেলাঘরের শাখা প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিয়ানীবাজার, তাজপুর, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট প্রভৃতি স্থানে। ম্যাগাজিন প্রতিবেদন সমিতিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
তাজুল মোহাম্মদ কাজ করেছেন অনেকগুলো সংগঠনে। প্রফেসর ড. খান সারওয়ার মুর্শিদের নেতৃত্বে গঠিত নাগরিক কমিটি, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত গণতান্ত্রিক ফোরাম ও প্রফেসর ড. এ. আর মল্লিকের নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র। বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। এর যুগ্ম সম্পাদক ও রিসার্স যুদ্ধাপরাধের ওপর নির্মিত সাড়া জাগানো প্রামাণ্যচিত্র ওয়ার ক্রাইমস ফাইলে।