ফ্ল্যাপে লিখা কথা
গণতন্ত্রের দুর্দশা কেন ? তার চলার পথে তো কমিউনিস্টরা কাঁটা দিয়ে রাখেনি। শিল্প মালিক ব্যবসায়ীরাই বা বাঁচাও বাঁচাও বলে কেন বিশ্বব্যাপী এমন সমস্বরে চিৎকার করছে? এই দুটো প্রশ্নের উত্তর নয়-মানুষের জীবন ধারার অনিবার্য সত্যগুলোকে সহজভাবে জানতে বুঝতে হলে পড়তে হবে এই গ্রন্থটি। দরিদ্র-সর্বহারা এবং বঞ্চিত মানুষের বোবা-কান্না উপলব্ধি করতেও সহায়ক এ গ্রন্থের লেখাগুলো।
এই গ্রন্থে আছে ১৮৪৮ সালে লেখা মার্ক্স-এঙ্গেলসের -কমিউনিস্ট ইশতেহার, ১৮৯৯ সালে লেখা রোজা লুক্সেমবার্গের বিপ্লব অথবা সংস্কার এবং ১৯৬৫ সালে আর্নেস্তো চে গুয়েভারার লেখা সমাজতন্ত্র এবং কিউবার মানুষ। এছাড়া আছে মার্কিন কবি এ্যাড্রিয়ান রিচের লেখা মুখবন্ধ এবং কিউবান বুদ্ধিজীবী আর্মান্দো হার্টের লেকা ভূমিকা। আসলে এই লেখাগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় তিনটি বিষয়, (১) পুঁজিবাদ এত উৎপাদনশীলতা সত্ত্বেও কেন সংকটে পড়ে?, (২) শ্রমিক শ্রেণীর কার্যকর ভূমিকা ছাড়া কেন গণতন্ত্র এগিয়ে চলতে পারে না?, (৩) কেন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন না থাকলে সাধারণ মানুষের অধিকার পদে পদে খর্ব হয়?
মানুষের সত্যিকার অতীত ইতিহাসকে জানা এবং বর্তমানের ঘটনাবলীর মূল্যায়ন আর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আঁচ করার মতো এমন সহায়ক গ্রন্থ আর হয় না। সত্যিই এই গ্রন্থটির রচনাগুলোর শক্তি রয়েছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার .. আপনার প্রজন্মে আপনি মানুষের জন্য কোনো অবদান রাখতে চাইলে পড়ুন এই ইশতেহার।
সূচিক্রম
* মুখবন্ধ– এড্রিয়ান রিচ
* ভূমিকা– আর্মান্দো হার্ট
* কমিউনিস্ট ইশতেহার– কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডেরিখ এঙ্গেলস
* সংস্কার অথবা বিপ্লব– রোজা লুক্সেমবার্গ
* সমাজনন্ত্র এবং কিউবার মানুষ– আর্নেস্তো চে গুয়েভারা
* লেখক পরিচিতি