লা-মিজারেবল

৳ 250.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9847020976
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৯৬
সংস্কার 21th Edition, 2016
দেশ বাংলাদেশ

“লা-মিজারেবল”বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
প্রায় তিন লক্ষ কপি লা-মিজারেবল’ এখন বাংলাদেশের কিশােরকিশােরী ও বইপ্রেমী পাঠকের হাতে। সতেরাে বছরের এক দুরন্ত কিশাের যেন আমার মানতে এতটুকু দ্বিধা নেই, প্রথম প্রকাশের পর থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র-এর প্রকল্প : রিডিং হেবিট বা পাঠাভ্যাস কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্তি এবং পাঠক প্রিয়তার কারণে ঘন ঘন মুদ্রণে যেতে হয়েছে সেই অর্থে বানান একবারের জন্যও সংশােধন করে উঠতে পারিনি। বইটি যাকে উৎসর্গ করেছি সে আমার ভাতিজী ‘উর্বী’, ও বইটি বিসাকে থেকে পুরস্কার পেয়েছিল, বলেছে বেশ কবার পড়েছেও, ভুল কিছু বানান চোখে পরলেও বলেনি কাকুর প্রতি শ্রদ্ধাবােধ থেকে হয়তাে। আমি বর্তমান সংস্করণে আপাদমস্তক বানানগুলাে ওকে দিয়েই ভােলাই করিয়েছি। এটা ওর কাজ ও কর্তব্য বলবাে—তাই ধন্যবাদ দিলাম না। জয়তু উর্বী। যে অর্থে অনুবাদ শব্দের আভিধানিক বিচার হয় সেই অর্থে গ্রন্থটি ‘অনুবাদ’ নয়—এ গ্রন্থটির প্রচুর বাংলায় অনুবাদ বেরিয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তাে আরাে অনেকে করবেন। আমি বাংলাদেশে প্রকাশিত ভিক্টর হুগাে’-র ‘লা-মিজারেবল’ বইটি যত ধরনের পাওয়া গেছে তার সবগুলােই পরেছি। এবং সত্যি কথা বলতে ভীষণভাবে উপভােগও করেছি তারপরও আমি আমার মত করে এই কালজয়ী বিখ্যাত গ্রন্থটির বাংলায় রূপান্তরের কাজে হাত দেয়ার লােভ। সামলাতে পারলাম না। যেহেতু গ্রন্থটি লাইন টু লাইন বাংলা করা হয়নি সে অর্থে আমার গ্রন্থটিকে অনুবাদ না বলে রূপান্তর শব্দের ব্যবহার। খুব কম সময়ে প্রথম মুদ্রণের কম্পােজ করার জন্য অকাল প্রয়াত বন্ধু সৈয়দ আবদুল হালিম ও আমার পছন্দের শিল্পী সুখেন দাস যে এক বৈঠকে এই প্রচ্ছদটি করে দিয়েছিলেন এ দুজনের কাছে আমি দায়বদ্ধ হয়ে রইলাম। বর্তমান প্রচ্ছদ আমার নিজেরই করা মূল গ্রন্থের আদলে।

ভিক্টর মারি হুগো ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮০২ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহন করেন। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিশাল সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার সন্তান ছিলেন তিনি। একাধারে সাহিত্য এবং রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ফ্রান্সে সা¤্রাজ্য আইন থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তিত হওয়া এবং সেই প্রক্রিয়ার নানান উত্থান-পতনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিসে বসবাসরত ভিক্টর হুগো তরুণ বয়সেই তার কবিতা, কল্পকাহিনি এবং নাটকের জন্য বিখ্যাত এবং কখনো কুখ্যাতও হয়েছিলেন। ১৮৪৫ সালে, তার বিখ্যাত গ্রন্থ লা মিজারেবল লেখার সময়, রাজা তাকে ফ্রান্সের উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেন। আইনসভার সর্বোচ্চ দলের সঙ্গে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়। তিনি সেখানে সবার জন্য বিনা খরচে লেখাপড়া, সার্বজনীন ভোটাধিকার এবং মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তির ব্যাপারে কাজ করা শুরু করেন। ১৮৪৮ সালে যখন রাজ্যে উন্নতির জোয়ার স্পষ্টভাবে কড়া নাড়ছিল, তিনি লা মিজারেবল লেখা বন্ধ করে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু ১৮৫১ সালে যখন দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন, হুগোর রাজনৈতিক চেতনার বিরোধিরা তাকে বৃটিশ চ্যানেলের একটি দ্বীপে নির্বাসনে বাধ্য করে। নির্বাসনে থেকেই ১৮৬০ সালে তিনি আবার লা মিজারেবল লেখার কাজে হাত দেন এবং পরের বছর উপন্যাসটি শেষ করেন। ১৮৭০ সালে সম্রাটের পতন হলে হুগো ফ্রান্সে ফেরত আসেন, যেখানে তাকে গণতন্ত্রের মানসপূত্র হিসেবে বিপুলভাবে সম্মানিত করা হয়। ২২ মে ১৮৮৫ সালে ভিক্টর হুগোর মৃত্যুর পরে ফ্রান্সের রাস্তায় তার কফিন বয়ে নেবার সময়ে বিশ লাখ মানুষের ঢল নামে। সেদিন ফ্রান্সের জনগণ যতভাবে সম্মান জানানো সম্ভব, জানিয়ে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ