ট্রেজার আইল্যান্ড রবার্ট লুইস স্টিভেনসন রচিত বিখ্যাত কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। মজার ব্যাপার হলো লেখক বইটির নাম দিয়েছিলেন দ্য সি কুক। সে সময়কার বিখ্যাত পত্রিকা ইয়াং ফোক্স-এ বইটি ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক হেন্ডারসন মূল নাম বদলে রাখেন ট্রেজার আইল্যান্ড। এই নামেই বইটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিশোর অ্যাডভেঞ্চারেরর সম্মান অর্জন করে। বইটি প্রকাশিত হয় ২৩শে মে ১৮৮৩ সালে। বইটি সারা বিশ্বে কিশোর উপন্যাস হিসেবে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় উপন্যাসটি অনূদিত হয়েছে। বিশ্বের সেরা কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম রবার্ট লুই স্টিভেনসন রচিত ট্রেজার আইল্যান্ড উপন্যাসটি। এখন জেনে নিন বইটির সারসংক্ষেপ : জিম হকিন্স নামে এক রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোর বাস করে সমুদ্র তীরের এক শহরে। জিমের মা সেখানে একটি সরাইখানা পরিচালনা করে এবং জিম তাকে সাহায্য করে। এক দিন সেই সরাইখানায় এসে হাজির হয় এক বদমেজাজী ঝগড়াটে ক্যাপ্টেন। লোকটি হঠাৎ মারা গেলে তার একটি সিন্দুক থেকে একটি মানচিত্র পাওয়া যায়। যেখানে আঁকা রয়েছে রত্নদ্বীপে যাওয়ার সমুদ্রপথ। এর পর জিমের আত্মীয় এবং শহরের লোকজন সেই দ্বীপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জিমকেও সাথে নেয় তারা। তদের এই যাত্রা রূপান্তরিত হয় এক দুঃসাহসিক অভিযানে। আর অভিযানের প্রতি পরতে পরতে রয়েছে নানা অ্যাডভেঞ্চার আর রহস্য। তারপর শুরু হয় মূল কাহিনি। রবার্ট লুই স্টিভেন্সন চমৎকারভাবে বর্ণনা দেন দুঃসাহসিক অভিযানের। জিম, ডাক্তার লিভজি, মি. ট্রলনি আর রেডরুথ এবং আরো কয়েকজন হিসপানিওলা নামক একটি জাহাজে করে সমুদ্রযাত্রা শুরু করে, গুপ্তধনের খোঁজে। তাদের সাথ বাবুর্চির কাজে যোগ দেয় এক-পা-বিহীন লং জন সিলভার। তার আসল পরিচয় তখনও কেউ জানে না। তার একটি পোষা টিয়ে পাখি ছিল। পাখিটিকে সে ক্যাপ্টেন ফ্লিন্ট বলে ডাকতো। ঘটনাচক্রে আপেলের পিপের ভেতর বসে জিম শুনে ফেলে জন সিলভারের চক্রান্তের কথা। জন সিলভার আসলে জলদস্যূ ক্যাপ্টেন ফ্লিন্টের সহযোগী ছিল। জিমের কাঁধে এসে ভর করে বিশাল এক দায়িত্ব। নিজে বাঁচতে হবে এবং বাঁচাতে হবে অনেককে। জিম কি পেরেছিল বাঁচাতে? গুপ্তধন পাওয়ার পর কি হয়েছিল? জানতে হলে পড়তে হবে ট্রেজার আইল্যান্ড উপন্যাসটির শেষ পর্যন্ত। কারণ বইটির পাতায় পাতায় রয়েছে গাঁ হিম করা অ্যাডভেঞ্চার …