কথামালা

৳ 130.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9848484279
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৬৪
সংস্কার 1st Published, 2019
দেশ বাংলাদেশ

সূচিপত্র
* বাঘ ও বক
* শিকারী কুকুর
* দাঁড়কাক ও ময়ূরের পালক
* সাপ ও কৃষক
* ঘোড়া ও মহিষ
* বাঘ ও বেড়ার বাচ্চা
* কুকুর ও ছায়া
* সিংহ ও ইঁদুর
* মাছি ও মধুর কলসি
* কুকুর, মোরগ ও শিয়াল
* কচ্ছপ ও ঈগলপাখি
* বাঘ ও পালিত কুকুর
* শিয়াল ও কৃষক
* রাখাল ও বাঘ
* কাক ও জলের কলসী
* খরগোশ ও কচ্ছপ
* পেট ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
* একচক্ষু হরিণ
* দুই পথিক ও ভালুক
* সিংহ, গাধা ও শিয়ালের শিকার
* বৃদ্ধা ও চিকিৎসক
* নেকড়ে বাঘ ও ভেড়ার পাল
* গৃহস্থ ও তার ছেলেরা
* লেজহীন শিয়াল
* ঘোড়া ও মানুষ
* খরগোশ ও ব্যাঙ
* কৃষক ও কৃষকের ছেলেরা
* কৃষক ও সারস
* পথিকগণ ও বটবৃক্ষ
* খরগোশ ও শিকারী কুকুর
* কুড়াল ও জলদেবতা
* নেকড়ে বাঘ ও ভেড়া
* কুকুরের কামড় খাওয়া মানুষ
* শিকারের ভাগ
* কৃপণ
* ষাঁড় ও মশা
* কুকুর ও ঘোড়াগণ
* মাটির পাত্র ও কাঁসার পাত্র
* চোর ও কুকুর
* রোগী ও চিকিৎসক
* সারসী ও তাহার সন্তানগণ
* লবণবাড়ী বলদ
* পথিক ও কুড়াল
* ঘোড়া ও গাধা
* হরিণ
* সিংহ,ভালুক ও শিয়াল
* টাকা ও পরচুলা
* সিংহ ও তিন ষাঁড়
* সিংহ, শিয়াল ও গাধা
* জ্যোতির্বিজ্ঞানী
* সিংহের চামড়াপরা গাধা
* বাঘ ও ছাগল

Iswar Chandra Vidyasagar- তিনি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর (বাংলা ১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ আশ্বিন, মঙ্গলবার) বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বীরসিংহ সেই সময় অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণ ছিলেন সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ। ইনিই ঈশ্বরচন্দ্রের নামকরণ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় চাকুরি করতেন। পরিবার নিয়ে শহরে বাস করা তাঁর সাধ্যের অতীত ছিল। সেই কারণে বালক ঈশ্বরচন্দ্র গ্রামেই মা ভগবতী দেবী ও ঠাকুরমার সঙ্গে বাস করতেন।উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ করে তোলেন ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনই তাঁর দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসংকটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তাঁর পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মশক্তি ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি। বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলকাতার আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তাঁরই নামে উৎসর্গিত। জন্ম গ্রহণ কালে তার পিতামহ তার বংশানু্যায়ী নাম রেখেছিলেন "ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়"। ১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষা দেন ঈশ্বরচন্দ্র। এই পরীক্ষাতেও যথারীতি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে যে প্রশংসাপত্রটি পান, তাতেই প্রথম তাঁর নামের সঙ্গে 'বিদ্যাসাগর' উপাধিটি ব্যবহৃত হয়। তিনি ২৯ জুলাই ১৮৯১, ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ