হ্যামলেট মৃত বাবার প্রেতাত্মার কাছ থেকে যুবরাজ হ্যামলেট জানতে পারেন, তার বাবাকে সাপে কাটেনি, তার বাবাকে হত্যা করেছে তারই চাচা ক্লডিয়াস। তিনি আবার তার মাকে বিয়ে করে রাজ্যের সিংহাসন দখল করে আছেন। হ্যামলেট তাই পিতৃহত্যার প্রতিশােধ নিতে পাগলের ভান করে সুকৌশলে শেষ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের। এমনকি তার প্রেমিকা ওফেলিয়ার ভাই এবং বাবাও রক্ষা পায়নি তার হাত থেকে। ফলে ওফেলিয়াকেও আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়। প্রিন্স হ্যামলেটের জীবনের উপরেও কম ঝড় বয়ে যায়নি।এদিকে তাকে হত্যার জন্য প্রস্তুত রাখা বিষের পেয়ালায় চুমুক দেয় তারই জন্মদাত্রী মা। অবশেষে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হ্যামলেটেরও মৃত্যু হয়। এই হলাে ‘হ্যামলেট’ নাটকের এক পলক । শেক্সপিয়রের এই কাব্যনাট্য প্রথম মঞ্চস্থ হয় সম্ভাব্য ১৬০২ সালে এবং মুদ্রিত হয় ১৬০৩ সালে। মূলত এলিজাবেথীয় যুগ থেকেই হ্যামলেট বিশ্বশ্রত বিয়ােগাত্মক নাটকের শীর্ষস্থান দখল করে আছে। পরিবেশিত ‘হ্যামলেট’ সেই বিখ্যাত কাব্য নাটকের গল্পরূপ।