“কোর্ট মার্শাল আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা রাতারাতি আসেনি। সশস্ত্র যুদ্ধে লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ও আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর দীর্ঘ ২৩ বছর চলেছে শাসন, শােষণ ও নির্বিচার লুণ্ঠন। এর বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই সংগ্রাম শুরু হয় বিভিন্ন মাত্রিকতায়। বাঙালি নেতৃবৃন্দের অধিকাংশই শাসকগােষ্ঠীর লেজুড়বৃত্তি করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজপথে, কখনাে গণপরিষদে, কখনােবা সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষে আপসহীনভাবে সংগ্রাম পরিচালনা করেন।
পাকিস্তান শাসকগােষ্ঠী বিশেষ করে জেনারেল আইয়ুব খান ও জেনারেল ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারা দুজনই সামরিক ট্রাইব্যুনালে ও কোর্ট মার্শালে তথাকথিত বিচারের নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ফাঁসি দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বাঙালির মুক্তির লক্ষে ৬ দফার ভিত্তিতে সুকৌশলে স্বাধীনতা অর্জনে অনমনীয় দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালােবাসা তাঁকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উন্নীত করে। বক্ষমান গ্রন্থটিতে এই চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের ঘটনাবহুল একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়কে তুলে ধরার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। একটি মানুষ কীভাবে জনগণকে ভালােবেসে, মৃত্যুকে পরােয়া না করে স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষে এগিয়ে গেছেন। তার পূর্বাপর ঘটনা কোর্ট মার্শাল: আমি মৃত্যুকে পরােয়া করি না গ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে।