“আম আঁটির ভেঁপু” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
পথের পাঁচালী বিভূতিভূষণের শ্রেষ্ঠ রচনা। প্রথম রচিত এই উপন্যাসের মাধ্যমেই তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী উপন্যাসটি ভারতীয় বিভিন্ন ভাষাসহ ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। বাংলার গ্রাম্যজীবনের এমন গূঢ় ও অন্তরঙ্গ প্রতিলিপি আজ পর্যন্ত আর বেরােয়নি। ‘পথের পাঁচালী’র রস ছােটোরাও অনায়াসে পেতে পারে। কিন্তু মূল বইয়ের আয়তন এবং আবেদন কোনােটাই ছােটোদের ধৈর্য এবং অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ উপযুক্ত নয়। এজন্যই তাদের উপযােগী করে বইটিকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু মূল বইয়ের রস কোথাও ব্যাহত হয়নি। বাংলাদেশকে জানতে হলে বাংলার গ্রামকে ঘনিষ্ঠভাবে জানা দরকার। ‘আম আঁটির ভেঁপু’ পড়লে বাংলার ছেলে-মেয়েরা বাংলাগ্রামের প্রকৃত পরিচয় পাবে।
তবে তাঁর রচনায় নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনচিত্র ও সমকালের আর্থসামাজিক বাস্তবতাও সমভাবে উন্মােচিত হয়েছে। তাই বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণই সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় সাহিত্যিকের মর্যাদা পেয়েছেন।