“দিনলিপি: বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে দেশপ্রেমের অমিত সাহসিকতায় তিনি অগ্রসর হয়েছেন। সহস্র চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র তাঁকে থামাতে পারেনি। মৃত্যুভয়, কারাযন্ত্রণা ও মৃত্যু-উপত্যকে অতিক্রম করেছেন আদর্শের পতাকা হাতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত ছিলেন না সত্য, কিন্তু তিনি ছিলেন কোটি কোটি মানুষের অন্তরে। শত্রু হননের প্রতিজ্ঞায়। জনযুদ্ধের নির্দেশ ও প্রত্যয়ে তিনি ছিলেন দৃশ্যমান। তার নামেই পরিচালিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। তাঁকে ঘিরেই সমগ্র বিশ্ব আলােড়িত হয়েছে মুক্তির মিছিলে। বাংলাদেশ নামটিও তারই দেয়া।
পাকিস্তানের মৃত্যু-কারাগার থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২। দেশ তখন মহাধ্বংস স্তুপে। রাষ্ট্রযন্ত্র বিকল। অবকাঠামাে ধ্বংস। কোটি কোটি বুভুক্ষু মানুষ। খাদ্য নেই, জমিতে ফসল নেই। ঘর নেই। আশ্রয় নেই। ছিন্নমূল মানুষ। মুদ্রা লুণ্ঠিত। লক্ষ লক্ষ অস্ত্র ছড়ানাে-ছিটানাে। সার্বিক বন্দর অচল। পাশাপাশি স্বাধীনতা ও দেশ-ধ্বংসের সশস্ত্র তৎপরতায় জাতীয়-আন্তর্জাতিক শত্ৰু-চক্র। জাতিসংঘের স্বীকৃতিহীন একটি রাষ্ট্র।