ফ্ল্যাপে লিখা কথা হুমায়ূন আহমেদের পছন্দের কিছু ভূতের গল্প এই গ্রন্থে একত্রিত করা হয়েছে। ভূত বিষয়ে লেখকদের একটি লেখার অংশ বিশেষ উদ্ধৃত করা হচ্ছে-এ থেকে ভূত প্রসঙ্গে লেখকের মনোভাব বোঝা যাবে- ”মিসির আলি সাহেব যদি জিজ্ঞাসা করা হয়-”আপনি ভূত বিশ্বাস করেন?” তিনি তৎক্ষণাৎ বলবেন-”না। যুক্তিতে ভূত আসে না।” হিমুকে এই প্রশ্ন করলে, হিমু বলবে-”অবশ্যই ভূত বিশ্বাস করি। যু্ক্তি শেষ কথা নয়-জগতের অনেক রহস্যই যুক্তির বাইরে।” এখন সমস্যা হচ্ছে মিসির আলি এবং হিমু দু’জনই আমার লেখার চরিত্র। তাহলে কি এই দাঁড়াচ্ছে যে আমি মানুষটা কখনো ভূক বিশ্বাস করছি, কখনো করছি না? তা কিন্তু না-ভূত-প্রেত, জ্বীন-পরীতে আমার বিশ্বাস নেই। গভীর রাতে যদি ছায়া ছায়া কোন মূর্তি এসে বলে, “আমি ভূঁত।” তবু বিশ্বাস করব না, ভাবব হেলুসিনেশন। দৃষ্টি বিভ্রম। তারপরেও কিন্তু ভাবতে ভাল লাগে যে আমাদের মত এরাও আছে আমাদের চারপাশেই আছে। এদের নিয়ে লেখা গা ছমছমে গল্প পড়তে ভাল লাগে-এদের নিয়ে লিখতেও ভাল লাগে। এই কারণেই এদের নিয়ে লিখি। তবে একবার লেখা হয়ে গেল দ্বিতীয়বার আর পড়িনা। যেন এরা আমার অনাদরের সন্তান। জন্ম দিয়েই মুক্তি। লালন পালনের দায়িত্ব নেই। সূচিপত্র পাথর পিঁপড়া বৃহন্নলা সঙ্গিনী ছায়াসঙ্গী শবযাত্রা ওইজা বোর্ড সে দ্বিতীয় জন বেয়ারিং চিঠি বীণার অসুখ কুকুর ভয় গোবর বাবু আয়না