“তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে” বইয়ের কিছু কথাঃ
একটি ছোট্ট গ্রামে একটা বিশালাকার প্রাচীন বটগাছ; গাছটার গুড়ি কেউ সিমেন্ট দিয়ে বাধিয়ে দিয়েছে। এই বটগাছটা নবনীর খুব প্রিয়। সে সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসে, সিমেন্ট বাধানো গুড়িতে বসে, আপনমনে কথা বলে গাছের সঙ্গে।
নবনী এ গ্রামের বাসিন্দা নয়। বাবা, মা আর ছোটবোন শ্রাবনীর সাথে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। নবনীর বাবা বন ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী জামিল চৌধুরী। বাবা হিসেবে চমৎকার একজন মানুষ হলেও স্বামীর ভূমিকায় তার অবস্থান আদর্শ নয়। নবনীর মা জাহানারার জীবনটা রান্নাঘরেই কেটে গেল। শুচিবায়ুগ্রস্ত এই নারী স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী হতে পারেন নি, চাপা দিয়ে রেখেছেন কিছু নিজস্ব বেদনা, আর অপেক্ষায় আছেন সঠিক সময়ের।
শ্রাবনী, যার দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে বই পড়ে। বেড়াতে আসার সময়ও তার সঙ্গী ছিল দুই সুটকেস বই। অসাধারণ বুদ্ধিমতী এই তরুনী তার বোনকে প্রচন্ড রকমের ভালবাসে। তাই তাকে বড় আঘাত থেকে রক্ষা করতে অপেক্ষাকৃত ছোট আঘাত দিতে পিছপা হয়না।
নবনীরা গ্রামে আসার কয়েকদিনের মাঝেই এসে হাজির হয় শাহেদ। রাজপুত্রের মত এই যুবকের সাথে নবনীর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। তারা পরষ্পরকে ভালও বাসে, কিন্তু মাঝে মাঝে একটা আড়ষ্টতা নবনীকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।