ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
*ফরহাদ মজহার বাংলা কবিতাকে ঔপনিবেশিক আধুনিকতার মৃত্যুযাত্রা থেকে ফিরিয়ে আপন ঐতিহ্যের নাড়ি-সম্পৃক্ত করার বলিষ্ঠ উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আরো আগেই।যার অভা্বনীয় উদ্বোধন এবাদতনামা।যেখান থেকে বাংলা কবিতার মোড় মৌলিকভাবে ঘুরিয়ে দিয়ে তিনি একে যুক্ত করলেন, বাংলার ভাবসম্পদের অন্তর্গত কাব্য ও দর্শনের যুগল সম্মিলনে।এবার ক্যামেরাগিরির পরীক্ষা-নিরীক্ষায়, আরো ভিন্নতর মাত্রায় বিষয় ও আঙ্গিকের অভিনবত্বের ভিতর প্রসারিত করেছেন।ভাষাভঙ্গি, উপমা ও প্রকরণে যথারীতি এবারো একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করেছেন নিঃসন্দেহে। একইসাথে বাংলা কবিতা : পরমার্থিতার উদয়ে, প্রজ্ঞার সুনির্মল লাবণ্য ধারণে, অনির্বচনীয় বাগর্থের উৎপূর্ণতায় অভিষিক্ত একটি মর্মর ধ্যানকল্পের পূর্ণতা পেয়েছে।সহজে অতল গভীরতার দিকে টেনে নেয়ার প্রাণস্পর্শী কাব্য সুষমার স্বাক্ষর ক্যামেরাগিরি কাব্যগ্রন্থ।যেখানে বিশ্বপ্রকৃতি, চরাচর, পুরুষ ও পরমাত্মা-কাব্যভাষায় রূপ ও অরূপের মিলিত মুহূর্তের ধারক হয়ে উঠেছে।এখানে পূর্ণ হয়েছে মৌনতা, দীপ্ত হয়েছে উচ্চারণ।যেখানে বিষয় বা বিষয়ীর ভেদ লুপ্ত; অর্থের লীলা ছলছল শরীর ভেঙে সৃষ্টিশীল দিব্যতার ব্যক্ত প্রভা ইতিহাসের নতুন ইশারা হয়ে হাতছানি দেয়।আসুন সেই আনন্দযাত্রায়, এই উৎসারণের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে।
সূচিপত্র
*ফরিদার জন্য ক্যামেরাগিরি
*গণিতজ্ঞ
*শালিক পাখির দিকে সাড়ে সাত রকম ভাবে তাকাইবার পদ্ধতি
আমার কবিতা
*আহারে বৃষ্টি!
*বিছানা
*কবে হবে সজল বরষা……
*প্রেম
*আকাশ
*বৈশাখ পূর্ণিমায় সুসমাচার
*নয়াকৃষি
*নারীধর্ম
*বিদ্রোহী ভাদ্রের জন্য তিনটি কবিতা
*দাঁতের মনুষ্যমাংস
*গনগনে পদ্য
*বাঘের ভালোবাসা
*চলো যাই
*বৃষ্টি, তোরে আমি ধরুম
*বিরহই যখন বঙ্গে নামায