“এই জলকণা নাও নদী” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
১৯৯৭ সালে আতাহার খানের কবিতার বই শিরস্ত্রাণ খােলাে যুবরাজ-এর পর ২০০০ সালে বেরােয় এই জলকণা নাও নদী। এটি তার দ্বিতীয় কবিতার বই । এর আগে শিরস্ত্রাণ খােলাে যুবরাজ তাকে পুরাে আলাদা করে চেনার সুযােগ এনে দেয়। এই জলকণা নাও নদী-তেও আতাহার খানকে আরও কাছ থেকে, অন্তরঙ্গ উচ্চারণে চিনতে পারা যায় । নিভৃতচারী এই কবি আশ্চর্য উপলব্ধির জগৎ নির্মাণ। করেছেন। সেখানে তার কণ্ঠ স্বতন্ত্র। অন্তর্ভেদী । উপমা, উৎপ্রেক্ষা আর শব্দের কারুকাজে বাহ্যিক অর্থের আড়ালে ভিন্ন। অর্থের দ্যোতনা সৃষ্টির অসাধারণ। ক্ষমতার অধিকারী তিনি। তাঁর পঙক্তিমালা সহজে মন ছুঁয়ে যায় । হৃদয়ে গভীর দাগ কাটে। তার সাংকেতিক। ভাষার মর্মমূলে পৌছুতে হলে পাঠককে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। নানা রঙের খেলা, থেকে থেকে উজ্জ্বল দ্যুতি। ছড়ায় । উপলব্ধির গভীরে নিয়ে যায় । তখন সৃষ্টি হয় আশ্চয অনুভূতির নিত্যনতুন ইন্দ্রজাল, যার রহস্য উন্মােচনের জন্য চাই অন্তর্ভেদী চোখ আর সমৃদ্ধ মন।