ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মারক ,কৃষ্টির ধারক। স্মারক ও ধারকের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর বিকাশ, রাজনীতিক প্রত্যয়, সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব ,ধর্মীয় অনুভব, আর্থিক উন্নতি ও স্বকীয় মাধুর্যের প্রকাশ ঘটে। মানুষের যেমন পোশাক জাতির তেমনি ইতিহাস। পোশাকের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত জ্ঞানতাপস শেখ সাদীকে কেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল তা সবার জানা। পোশাকের মতো ইতিহাস জাতিকে মাধুর্যময় মহিমায় উপস্থাপনায় সাজিয়ে আত্নবোধে উদ্বুদ্ধ করে । তাই বলা হয় পোশাকই মানুষকে স্বকীয় বোধে উপস্থাপন করে । কোন জাতি বা জনগোষ্ঠী অতীতে কেমন ছিল তা সংশ্লিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস পড়ে জানা যায়। অতএব ইতিহাসে যে জাতি যত সমৃদ্ধ সে জাতির প্রতি বিশ্বের সম্মান ও শ্রদ্ধা তত বেশি হয়। যে জাতি যত ইতিহাস সচেতন সে জাতি তত আত্নমর্যাদাশীল; যে জনগোষ্ঠী যত আত্নমর্যাদাশীল সে জনগোষ্ঠী তত স্বনির্ভর ও স্বাধিকার চেতন। স্থানিক নাম ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অণ্যতম একটি উৎস। অধিকন্তু এ নাম প্রাচীন জনবসতির আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ , ইতিহাস, রাজনীতি , মতায়ন, আচার-আচরণ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য হিসেবে প্রতিভাত। তাই স্থানিক নামকে অবহেলা করার কোন অবকাশ নেই। স্থানের নাম জনবসতির সামগ্রিক চরিত্রের সাথে জড়িত বলে এটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূচিপত্র
প্রথম ভাগ
* প্রথম অধ্যায়: বিভাগওয়ারি জেলা-উপজেলা
* দ্বিতীয় অধ্যায়: ঢাকা বিভাগ
* তৃতীয় অধ্যায়: চট্রগ্রাম বিভাগ
* চতুর্থ অধ্যয়: রাজশাহী বিভাগ
* পঞ্চম অধ্যায়: খুলনা বিভাগ
* ষষ্ঠ অধ্যায়: বরিশাল বিভাগ
* সপ্তম অধ্যায়: সিলেট বিভাগ
* অষ্টম অধ্যায়: রংপুর বিভাগ
* নবম অধ্যায়: নদনদী
দ্বিতীয় ভাগ
* প্রথম অধ্যায়: জেলাসমূহের নামকরণ বিশ্লেষণ
* দ্বিতীয় অধ্যায়: নামকরণ বিচিত্রা
* তৃতীয় অধ্যায়: উপজেলার নামে অক্ষর বিন্যাস
* চতুর্থ অধ্যায় : বাংলা অক্ষরের ক্রমানুসারে উপজেলার নাম
* পঞ্চম অধ্যায়: পুর, গঞ্জ এবং নগর
* গ্রন্থপঞ্জি